সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান শহরে জাহাজের তেলের ট্যাংকিতে আটকে পড়া বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক শাওনসহ (২২) তিনজনের।
Advertisement
শাওন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. আউয়াল মিয়ার ছেলে। দুই বছর আগে জীবিকার তাগিদে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান শাওন। তার গ্রামের বাড়ি জেলার আখাউড়া উপজেলার ছোট কুড়িপাইকা গ্রামে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে তেলবাহী জাহাজের ট্যাংকার পরিষ্কার করতে গিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে শাওনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শাওনের সঙ্গে আরও দুই বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যুর খবর বড় ভাই সৌরভ পরিবারকে জানান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত শাওন ও তার বড়ভাই সৌরভ একই কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। প্রায় দুই বছর আগে জীবিকার তাগিদে আরব আমিরাতে পাড়ি জমান শাওন। গত ২ মাস আগে ৪০ দিন ছুটি কাটিয়ে শাওন কর্মস্থলে ফিরে যান।
Advertisement
শাওনের বাবা মো. আওয়াল মিয়া বলেন, কর্মস্থলে জাহাজে তেলের ট্যাংকি পরিষ্কার করতে যায় শাওন। এসময় তার সঙ্গে থাকা বন্ধু মোটর নিয়ে আগে ভেতরে ঢোকে। কিছু সময় অতিবাহিত হলেও সে ওপরে উঠে না আসায় শাওনসহ অন্য আরও দুইজন ভেতর প্রবেশ করে। এ অবস্থায় অক্সিজেনের সংকটে অচেতন হয়ে পড়ে সবাই। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। আমার শাওন তার বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হলো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী কালু বলেন, আরব আমিরাতে শাওনের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তাৎক্ষণিক তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি। শাওন ছেলেটি এলাকায় সবার সঙ্গে আন্তরিক ছিল। সে বিদেশে গিয়েও সবার খোঁজ খবর নিতো। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এফএ/এএসএম
Advertisement