সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বন্যাতলা এলাকার খোলপেটুয়া নদীর উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধে (৭/২ নম্বর পোল্ডার) ধস দেখা দিয়েছে।
Advertisement
বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে আকস্মিকভাবে ১৫০ ফুটেরও বেশি জায়গাজুড়ে বাঁধ পাশের খোলপেটুয়া নদীতে বিলীন হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
ধসে যাওয়া অংশে মাত্র চার থেকে পাঁচ ফুট বাঁধ অবশিষ্ট আছে। যে কোনো মুহূর্তে এই অংশ ভেঙে গিয়ে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ধসে যাওয়া বাঁধের পাশে বসবাসকারী নুরুল ইসলাম জানান, প্রায় এক সপ্তাহ আগে বন্যাতলা এলাকার দুটি অংশের বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। কিন্তু শুরু থেকে কোনো ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বুধবার রাতে আকস্মিকভাবে দেড়শ ফুটেরও বেশি জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
Advertisement
পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলাম জানান, ভাঙনের শুরু থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে কোনো তদারকি ছিল না। তাদের বারবার বলা সত্ত্বেও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের বিস্তৃতি রোধে শুরু থেকে গ্রামবাসী গাছের ডাল-পালা ও বাঁশ দিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দ্রুত সংস্কার করা না হলে যে কোনো মুহূর্তে সম্পূর্ণ বাঁধ ধসে গোটা ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) পাউবো কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুন।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভাঙনকবলিত অংশে জিওব্যাগ ও সিমেন্টের ব্লক ডাম্পিংয়ের প্রস্তাবনা এসেছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় জরুরি ভিত্তিকে করণীয় নির্ধারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পাউবো সাব-ডিভিশন-২ এর সহকারী প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলের ভিডিও ও ছবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। ভাঙনের পরিস্থিতি বর্ণনা করে বিষয়ের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই কাজ শুরু করা হবে।
Advertisement
আহসানুর রহমান রাজীব/এসআর