বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ইন্টারনেটের এই যুগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে ফেসবুক।
Advertisement
ফেসবুক মনিটাইজেশন করার অনেক সুবিধা রয়েছে। ফেসবুক থেকে আয় করার প্রথম শর্তই হচ্ছে আপনার পেজটি মনিটাইজেশন করতে হবে। তবে চাইলেই ফেসবুক মনিটাইজেশন করতে পারবেন না। এ জন্য ফেসবুকের কিছু শর্ত আপনাকে মানতে হবে। সেসবের অন্যতম শর্ত হচ্ছে কিছু নথি আছে বলে নিশ্চিত করতে হবে। সেই নথির অন্যতম টিন সার্টিফিকেট।
বর্তমানে ফেসবুক মনিটাইজেশন করতে হলে টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়, তবে এটি তৈরি করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা দরকার। অনেকেই হুটহাট টিন খুলে ফেলেন, কিন্তু পরে বুঝতে পারেন যে, এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয় (যখন করমুক্ত আয়সীমার বেশি আয় হয়) এবং সঠিকভাবে কর পরিশোধ না করলে ভবিষ্যতে আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে।
কেন বুঝে নেওয়া দরকার?মনিটাইজেশন সবসময় সফল নাও হতে পারে। অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে মনিটাইজ হলেও পর্যাপ্ত ইনকাম নাও আসতে পারে। ফলে টিন করলেন যেজন্য, সেই কাজে না লাগলেও আপনাকে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হচ্ছে সময় মতো।
Advertisement
টিন নিলে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। বছরে আয় এক টাকা হোক বা না হোক, যদি আপনার টিন থাকে, তাহলে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতেই হবে। আপনার করযোগ্য পরিমাণ আয় না হোক বা সম্পদ না থাকুক তারপরও আপনাকে জিরো রিটার্ন জমা দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে আপনি নানান সমস্যায় পড়বেন।
যদি আয়কর রিটার্ন না দেন, তাহলে টিন নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে বা জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে। তারপর জিরো রিটার্ন না দেওয়ার ফলে আপনি ব্যাংক লোন নিতে গেলে ঝামেলায় পড়বেন। বিদেশ যাত্রায় ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে গেলেও ঝামেলা হবে।
তাহলে কী করবেন?আগে নিশ্চিত হোন ফেসবুক থেকে আপনার ইনকাম আসবে কি না, অর্থাৎ আপনি সেইভাবে ফেসবুকে সময় দিতে পারবেন কি না নিয়মিত। নিয়মিত কনটেন্ট বানানো, পোস্ট করা বেশ কঠিন কাজ। যদি আপনি ফেসবুকে সময় দিতে পারেন তাহলে টিন রেজিস্ট্রেশন করুন।
টিন থাকলে অবশ্যই আপনার জিরো রিটার্ন সাবমিট করতে হবে, আপনার সম্পদ থাকুক বা না থাকুক। আর টিন বন্ধও করতে পারবেন। এ জন্য ট্যাক্স কমিশনার বারবার আবেদন করতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা করে সিদ্ধান্ত নিলে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের ঝামেলায় পড়তে হবে না।
Advertisement
সূত্র: মেটা
কেএসকে/জিকেএস/আরএমডি