দেশের দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকাগুলো গুরুত্ব দিয়ে প্রাথমিকের ৩১ লাখ শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচদিন পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের দুধ, ডিম, মৌসুমি ফল, কলা, ফর্টিফাইড বিস্কুট, কেক ও বনরুটি দেওয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ১৫০ উপজেলার ১৮ থেকে ১৯ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
Advertisement
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী ২৩ মার্চ উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ নামে নতুন প্রকল্পটিতে প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। প্রকল্পটি দেশের অতি দারিদ্র্য ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাস্তবায়িত হবে। এসব বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি সম্পর্কে সচেতনতায় ১৯২টি ব্যাচে প্রায় ১৯ হাজার ৭১৯ জন প্রধান শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
স্কুল ফিডিং কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা, প্রদেয় খাবারের পুষ্টিমান, ব্যয় ইত্যাদি বিবেচনায় স্বল্প মেয়াদে সপ্তাহের পাঁচ দিন উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন ফর্টিফাইড বিস্কুট, বান, পাস্তুরিত দুধ, ফল ও ডিমের সমন্বয়ে গঠিত প্যাকেটজাত করা খাবার সরবরাহ করা হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে পাঁচদিন নানান ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে। এর মধ্যে থাকবে দুধ, ডিম, ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা ও মৌসুমি ফল। যেদিন দুধ দেওয়া হবে, দুধের সঙ্গে বনরুটি থাকবে। যেদিন ডিম দেওয়া হবে, ডিমের সঙ্গে কলা এবং ফর্টিফাইড বিস্কুট থাকবে। মৌসুমি ফল দেওয়া হলে সঙ্গে থাকবে অন্য খাবার। যেমন বরিশালে আমড়ার সময় আমড়া, রাজশাহীতে আমের সময় আম, সঙ্গে দুধ পরিবেশন করা হবে। এভাবে ১৫০ উপজেলায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে টিফিনে খাবার দেওয়া হবে।
Advertisement
এমওএস/এমএএইচ/এমএস