বিগত বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজনৈতিক অসততা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতিকরণই ছিল প্রধান কারণ। তাই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বশর্তই হবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রতিষ্ঠান।
Advertisement
‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কতিপয় সুপারিশের বিপরীতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মতামত বা অভিমত প্রেরণ’ শিরোনামে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সোমবার (১৭ মার্চ) ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতির কাছে পাঠিয়েছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
চিঠির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব এবং লেজিসলেটিভ সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিবের কাছেও পাঠিয়েছেন তিনি।
ইসি জানায়, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনাররা সংবিধানের তফসিল অনুযায়ী শপথবদ্ধ। তারা 'আইন অনুযায়ী ও বিশ্বস্ততার সহিত পদের কর্তব্য পালন’, ‘বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য’, ‘সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান’ এবং ‘ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ’ করতে শপথ নিয়েছেন। এ মহৎ শপথ রক্ষায় সততা, একনিষ্ঠতা এবং নিরপেক্ষতাই হচ্ছে প্রধানতম গুণাবলি। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবং ভাবমূর্তি বিবেচনায় মনোনীত নির্বাচন কমিশনারদের ওপর আস্থা রাখা জরুরি। দেশের কোনো নাগরিকই আইনের ঊর্ধ্বে নন। কমিশনের সদস্যদের কেউ শপথ ভঙ্গ করলে বা অসদাচারণ করলে মেয়াদকালে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে এবং মেয়াদ পরবর্তী সময়ে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। এখানে আলাদাভাবে কারাদণ্ডের বিধান রাখা এ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে।
Advertisement
এমওএস/এমএএইচ/এএসএম