দেশজুড়ে

জব্দ সেই ৩৭ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ

নাটোরের সিংড়া থেকে আটক গাইবান্ধার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের গাড়ি থেকে জব্দ করা প্রায় ৩৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে নাটোরের সিংড়া আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান এ আদেশ দেন।

এর আগে এ ঘটনায় হওয়া সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমেদ জব্দ করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ চেয়ে দুপুরে আদালতে আবেদন করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের যানবাহন তল্লাশি করছিলেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। রাত ২টার দিকে বগুড়া থেকে নাটোর অভিমুখে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে তল্লাশির সময় গাড়ির পেছনের ডালায় বিপুল পরিমাণ টাকা দেখা যায়। এসময় গাড়িতে থাকা আরোহী ছাবিউল ইসলাম নিজেকে গাইবান্ধা জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয় দেন। পরে তাকে ও গাড়ির চালককে সিংড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন ৩৭ লাখ টাকাসহ আটক প্রকৌশলী

শুক্রবার সন্ধ্যায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তলব করামাত্র ছাবিউল ইসলাম হাজির হবেন, এমন শর্তে মুচলেকায় ছাড়া পান। এসময় তিনি ওই টাকা তার জমি বিক্রির টাকা বলে দাবি করেন। তবে এর সমর্থনে ছাবিউল কোনো প্রমাণ দিতে না পারায় পুলিশ ওই টাকা ও টাকা বহনকারী গাড়িটি জব্দ করে।

সিংড়া আমলি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নুরে আলম বলেন, আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা সোমবার জব্দ করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করবেন।

তিনি আরও বলেন, আজ সকালে গাইবান্ধার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম তার কাছে এসেছিলেন জব্দ করা টাকা ফেরত নেওয়ার উপায় জানতে। তাকে বৈধ কাগজপত্রসহ আদালতে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজু আহমেদ জানান, টাকাগুলো এলজিইডির কর্মকর্তা জমি বিক্রির টাকা বলে দাবি করলেও এর সমর্থনে কোনো কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি। তাই টাকার বৈধতা নিরূপণের জন্য তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন পাঠিয়েছেন। তারা তদন্ত করে টাকার উৎস বিষয়ে প্রতিবেদন দেবেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Advertisement

রেজাউল করিম রেজা/এসআর/জেআইএম