জাতীয়

থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল আটক

চট্টগ্রামে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে মো. রিয়াদ নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার কর্মস্থল চাঁদপুর থেকে তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একটি টিম।

Advertisement

রিয়াদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কাঞ্চনায়। তার বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট নগরীর কোতোয়ালি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, গত ৩ মার্চ রাতে এওচিয়া ইউনিয়নে ‌মাইকে ‌‘ডাকাত পড়েছে’ ঘোষণা দিয়ে নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেক নামে দুই জামায়াত কর্মীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার সময় নিহত নেজামের মরদেহের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। ওই অস্ত্রটি আটক পুলিশ সদস্য রিয়াদ ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় তাকে আটক করে নগরীর কোতোয়ালি থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিএমপির একটি টিম।

আরও পড়ুনগলাচিপার ইউএনওর ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক, আইডি হ্যাকের দাবি আবরারের হত্যাকারীরা কে কোথায় 

তবে একদিন পেরিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। কিংবা পুরোনো কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি।

Advertisement

এর আগে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৩ মার্চ রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়ায় দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি ৫ আগস্ট সিএমপির কোতোয়ালি থানা থেকে লুট হওয়া। ওই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নিহত নেজামের পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় মামলা করে পুলিশ। রিয়াদ সর্বশেষ চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি কক্সবাজার র‍্যাবে ছিলেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, শনিবার রিয়াদকে হেফাজতে নেয় সিএমপি। এটি বিভাগীয় পদক্ষেপের অংশ, পুলিশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

তবে উদ্ধার অস্ত্র আটক পুলিশ সদস্য বিক্রি করেছেন কি না সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি ওসি আবদুল করিম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনার সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থার বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।

এমডিআইএইচ/কেএসআর

Advertisement