যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় নিয়মিত বিরতিতে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতির পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৯৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে হামাস ও ইসরায়েল মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
Advertisement
সবশেষ গাজা সিটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এতে অন্তত চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে হামাস ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতির সফল বাস্তবায়নে ভীত বলে অভিযুক্ত করেছে এবং তার অবরোধের ফলে ইসরায়েলি বাসিন্দা ও বন্দিরা অনাহারে রয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে ইসরায়েলের হামলায় মোট ৪৮ হাজার ৫২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি।
Advertisement
আরও পড়ুন>
গাজা খালি করার পরিকল্পনা বাদ দিলেন ট্রাম্প, স্বাগত জানাল হামাস প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে গাজায় অবরোধ, খাবার-জ্বালানি-ওষুধ সরবরাহে বাধাঅন্যদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস প্রথম বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে। তাদের প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট দিনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, উইটকফ ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছেন।
এক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউজের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি কয়েক সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য একটি পরিমার্জিত মার্কিন প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, এই ধাপে হামাস বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করা হবে।
পরিমার্জিত এই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতি মেয়াদ বাড়ানোর সময় গাজায় একটি দীর্ঘমেয়াদি অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাবে। যদি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হয়, তাহলে বর্ধিত যুদ্ধবিরতির শেষ দিনে বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে, যা দীর্ঘমেয়াদি অস্ত্রবিরতির আগে ঘটবে।
Advertisement
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম