লাইফস্টাইল

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীরা চিনির বদলে যা খেতে পারেন

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রমজান মাসে রোজা রাখা একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। রোজার সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে, আবার ইফতার ও সেহরিতে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

Advertisement

অনেকেই ইফতারে চিনি মেশানো শরবত পান করেন। ফলে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ইফতারে ডায়াবেটিস রোগীরা চিনির বিকল্প হিসেবে অনেক কিছুই খেতে পারেন। যেমন-

খেজুর

মিষ্টির অভাব পুরণে ব্যবহার করতে পারেন খেজুরও। ফল হিসেবে খেজুর খুবই স্বাস্থ্যকর এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে অতিরিক্ত কোন ঝুঁকির সৃষ্টি করেনা। খেজুর যে কোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

বাদামী চিনি

বাদামী চিনিকে ইংরেজিতে বলা হয় ব্রাউন সুগার। আর আঞ্চলিকভাবে এটিকে আমরা সবাই লাল চিনি হিসেবেই চিনি। এটিও স্বাদের দিক দিয়ে সাদা চিনির চেয়ে কোন অংশে কম নয়। তবে ক্ষতির দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। এই উপাদানটিতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন। এ চিনিও সাদা চিনির মতো যে কোন খাবারের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়।

Advertisement

মধু

মিষ্টির অভাব পূরণে চিনির উৎকৃষ্ট বিকল্প ধরা হয় মধুকে। এক কাপ চা অথবা কফিতে এক চামচ সাদা চিনির চেয়ে এক চামচ মধু অনেক উপকারী। মধু যে কেবল স্বাস্থ্যের জন্যেই ভালো তা নয়, এটি আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

ফলের রস

খাবারের সঙ্গে মিষ্টান্ন হিসেবে ফলের জুস খেতে পারেন। যেটি চিনি ব্যবহার করে তৈরি করা যে কোনো খাবারের চেয়ে অধিক স্বাস্থ্যকর বলে জানান স্বাস্থ্যবিদরা। একগ্লাস ফলের জুসে যে পরিমাণ খনিজ ও ভিটামিন থাকে তা স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী।

গুড়

আখ থেকেই উৎপাদিত হয় গুড়। গুড় এই উপমহাদেশের মানুষের অধিক পছন্দের একটি উপাদান। গবেষণায় দেখা গেছে চা অথবা কফির সঙ্গে এক টুকরো গুড় আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং এটি আপনার রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক রাখে।

তাল মিছরি

চিনির বিকল্প হিসেবে তাল মিছরি খেতে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা। হজমশক্তি বাড়ায় তাল মিছরি। খাবারের পরে সামান্য তাল মিছরি খেলে হজম ভালো হয় ও বদহজম কিংবা গ্যাস্টিক্রের সমস্যা দূর করে। এছাড়া সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার একটি কার্যকরী ঘরোয়া দাওয়াই হলো মিছরি।

Advertisement

আরও পড়ুন

ইফতারে রাখুন বাহারি সব পুষ্টিকর খাবার রোজায় শরীরচর্চা কখন করবেন?

কেএসকে/এমএস