মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও তার মৃত্যু আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা যে কতটা ভঙ্গুর তার একটা উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ আয়োজিত ‘মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদ এবং ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল’ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উমামা ফাতেমা বলেন, ‘যে পরিবারের মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয় সেই পরিবার এবং নির্যাতিতাকে দিনের পর দিন ট্রমা বিয়ার (বহন) করতে হয়। আর যে ধর্ষক তার ফ্যামিলি কিন্তু নানানভাবে পাঁয়তারা করে তাকে বের করে আনতে পারে। এটার কারণ হচ্ছে আইনের মধ্যে ফাঁক-ফোঁকর আছে। এই আইনগুলো যদি প্রোপারলি সংশোধন করা না হয় এবং ধর্ষকদের যে সর্বোচ্চ শাস্তি সেটা যদি নিশ্চিত করা না হয় তাহলে কিন্তু ধর্ষণ কমবে না, বা ধর্ষকদের মনে একটা ভয় থাকতে হবে সেই ভয়টা কোনোভাবে সৃষ্টি হবে না।’
আরও পড়ুন
Advertisement
মাগুরার শিশুটির ঘটনাটা কীভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটা আলাদা করে দেখার কিছু নেই। একদম ছোট একটা বাচ্চা। হয়তো এই ঘটনাটা একটু সামনে এসেছে, সবাই এই ঘটনাটা জানে। এর আগে কিন্তু আরও অনেক ছোট বাচ্চা, তিন বছরের বাচ্চা ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১০ বছরের বাচ্চা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশে কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা কমছেই না। মাগুরার ঘটনাটা আমি দুঃখজনক বলতে পারবো না; বলা যায় যে, আমাদের সোসাইটিটা যে কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে, আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা যে কতটা ভঙ্গুর অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে সেটারই একটা উদাহরণ। আমরা শুধু সরকারের কাছে এটাই আশা করবো যে এই যে বাচ্চাটা ধর্ষণের শিকার হলো, সেই ধর্ষককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। শুধু এর মাধ্যমেই এটার সুষ্ঠু সুরাহা করা সম্ভব।’
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি। এশার নামাজের পর জানাজা শেষে নিজ আদি নিবাস শ্রীপুরের সোনাইকুন্ডীতে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে রাতে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে তার মরদেহ মাগুরায় পৌঁছায়।
কেআর/ইএ
Advertisement