জাতীয়

সেনাবাহিনীতে অস্থিরতা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ভিত্তিহীন

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান বা অস্থিরতা নিয়ে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এসব প্রতিবেদন চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় বলে মনে করে প্রেস উইং।

Advertisement

বৃহম্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম, যেমন দ্য ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে এবং অন্যান্য কিছু গণমাধ্যম- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান বা অস্থিরতার মিথ্যা দাবি করে যেসব খবর প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এগুলো চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। এ ধরনের অপপ্রচার শুধুমাত্র সার্বভৌমত্বের প্রতি হস্তক্ষেপ নয়, বরং গণমাধ্যমগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে।

আরও পড়ুনদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করবে: প্রেস সচিব৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, যার সংবিধান ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্যতম। সেনাবাহিনী সর্বদা তাদের পেশাদারত্ব এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়ে এসেছে। অথচ এই সংবাদের কোনো বাস্তবভিত্তি নেই এবং এটি সত্যের চেয়ে গুজবকে প্রাধান্য দিচ্ছে, যা আঞ্চলিক সহযোগিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

Advertisement

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আরও বলেন, এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রচার করে এই সংবাদমাধ্যমগুলো শুধু সাংবাদিকতার নীতিমালাকেই লঙ্ঘন করছে না, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা তৈরির ঝুঁকিও সৃষ্টি করছে। ভারত ও বাংলাদেশের জনগণ ভয় ও বিভেদের রাজনীতি থেকে মুক্ত থেকে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা পাওয়ার দাবিদার। তাই সংবাদমাধ্যমগুলোর উচিত হবে তথ্য যাচাই করে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চর্চা করা। এমন ভিত্তিহীন প্রচারণা থেকে বিরত থাকা, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে এসব মিথ্যা প্রতিবেদন প্রত্যাহার, সংশোধনী প্রকাশ এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার প্রতি নতুন করে প্রতিশ্রুতির আহ্বান জানাই। যদি এ ধরনের প্রচারণার একমাত্র উদ্দেশ্য বিভেদ সৃষ্টি করা হয়, তাহলে উভয় দেশকেই এটি কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারকে সহ্য করা মানে চরমপন্থি ভুল তথ্যের প্রসার মেনে নেওয়া।

এমইউ/কেএসআর/জেআইএম

Advertisement