পাকিস্তানের বিলুচিস্তানে ট্রেন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে সরকার। এ ঘটনার জন্য সরকার ও বিরোধীদল একে অপরকে দোষারোপ করছে।
Advertisement
ট্রেন ছিনতাইয়ের পর রক্তক্ষয়ী অভিযানের মাধ্যমে তিন শতাধিক জিম্মিকে মুক্ত করা হয়েছে। যদিও এ ঘটনায় ৩৩ হামলাকারীসহ মোট ৫৮ জন নিহত হয়েছেন।
জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ যখন জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সন্ত্রাসী ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তখন পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার এই হামলার জন্য সরকারের অযোগ্যতাকে দায়ী করেন।
যদিও অধিবেশন চলাকালীন জাতীয় পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে জাফর এক্সপ্রেস ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
Advertisement
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ সমস্যা নতুন নয়। তিনি যখন ছোট ছিলেন তখনও সন্ত্রাসবাদের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন বলেও জানান।
বিলাওয়াল বলেন, সন্ত্রাসবাদের কারণে দেশ প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যাকাণ্ডের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে কাজ করা শক্তিগুলো তাদের প্রচেষ্টায় ঐক্যবদ্ধ ও জাতি বর্তমানে আগের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক সময়ের মুখোমুখি।
তিনি রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাবের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সন্ত্রাসীরা এই বিভাজনকে কাজে লাগাচ্ছে।
Advertisement
বিলাওয়াল আরও বলেন, খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠছে, প্রতিটি ঘটনাই আগেরটির চেয়ে বেশি বিপজ্জনক।
পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার বলেছেন, পাকিস্তানকে চলমান সন্ত্রাসবাদের মূল কারণগুলোর সমাধান করতে হবে।
কায়সার জোর দিয়ে বলেন, জাতীয় পরিষদ জালিয়াতির মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। জনসাধারণের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানান তিনি।
সূত্র: জিও নিউজ
এমএসএম