মাগুরায় মারা যাওয়া শিশুটির ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিচার দাবিতে মশাল মিছিল করছে ছাত্র-জনতা। মিছিল থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবিও করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার পর ‘ছাত্র-জনতার মশাল মিছিল’ শীর্ষক ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। পরে মিছিলটি নীলক্ষেত মোড় ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে বিজয় একাত্তর হল ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্য হয়ে শহীদ মিনারের দিকে মিছিলটি এগিয়ে যায়।
এসময় হাতে মশাল জ্বালিয়ে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা। তাদের স্লোগান ছিল- আছিয়া মরলো কেনো? প্রশাসন জবাব দে; বাহ্ পুলিশ চমৎকার, ধর্ষকের পাহারাদার; জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো; জাহাঙ্গীরের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে; যে রাষ্ট্র ধর্ষক পোষে, সেই রাষ্ট্র ভেঙে দাও; যে হাত ধর্ষণ করে সেই হাত ভেঙে দাও; নিপীড়কের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও; জাহাঙ্গীররের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও; আবু সাইদের বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই; মুগ্ধের বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই; অবিলম্বে মিথ্যা মামলা, প্রত্যাহার করতে হবে...ইত্যাদি।
আরও পড়ুন
Advertisement
এদিকে, মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) জীবনমৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মারা যায়।
সম্প্রতি বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী ওই শিশুটি। গত ৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওইদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আরও পড়ুন
শিশু ধর্ষণ নিয়ে হাইকোর্ট: আমরা ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, এগুলো দমাতে হবেপরদিন ৭ মার্চ (শুক্রবার) রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় শিশুটিকে গত ৮ মার্চ (শনিবার) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। তাকে ঢাকার সিএমএইচের পিআইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
Advertisement
কেআর/এমকেআর/জিকেএস