আইন-আদালত

দক্ষিণ সিটির প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

উচ্চ আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের গেন্ডারিয়ায় খেলার মাঠে মার্কেটসহ অন্যান্য নির্মাণকাজ চলমান রাখায় সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

একই সঙ্গে, ধূপখোলা মাঠে মার্কেটসহ অন্যান্য নির্মাণকাজের ওপর তিন মাসের স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) দিয়েছেন আদালত। সংশ্লিষ্টদের আদালত অবমাননার রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না।

এ সংক্রান্ত আদালত অবমাননার অভিযোগ শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের চারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেলা’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।

Advertisement

আরও পড়ুন: ধুপখোলা মাঠ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে: তাপস

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ধূপখোলা খেলার মাঠে মার্কেটসহ অন্যান্য নির্মাণকাজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নিজেরা করি, বাংলাদেশ লিগাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নাগরিক উদ্যোগ, গ্রিন ভয়েস- সংস্থাসমূহ জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করে।

রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত ২০২৩ সালের ১২ মার্চ প্রযোজ্য আইন অনুসারে ধূপখোলা খেলার মাঠকে কেবল জনসাধারণের জন্য খেলার মাঠ হিসেবে রক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দেন এবং একই সঙ্গে সব নির্মাণ কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) জারি করেন।

১২ মার্চ প্রাথমিকভাবে প্রদত্ত স্থিতাবস্থা আদেশটি হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক বিগত ৬ জুন আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। আদালতের ২০২৩ সালের ১২ মার্চের আদেশ ১৪ মার্চ ২০২৪ সালের ৬ জুন এর আদেশ স্মারকলিপির মাধ্যমে গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে যথাযথভাবে জানানো হয়েছে।

আইনজীবী বলেন, আদেশ যথাযথভাবে অবহিত হওয়া সত্ত্বেও বিবাদীরা (রিট বিবাদী নং ৪) মার্কেট নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন। এমতাঅবস্থায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আদালত অবমাননার মামলাটি (নং ৫৮/২০২৫) দায়ের করে। শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার ১০ মার্চ হাইকোর্ট এ রুল জারি করেন।

Advertisement

এফএইচ/এমএইচআর/এএসএম