প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিডনিপ্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
Advertisement
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। সত্তরের দশকে বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
আশির দশকে কানাডার ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তিনি অধ্যাপনা শুরু করেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আনিসুজ্জামান চৌধুরী বর্তমানে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড সাইকোলজি এবং অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স অ্যাকাডেমি, ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের স্কুল অব বিজনেসে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
Advertisement
তিনি ২০০৮-২০১৬ সাল পর্যন্ত নিউইয়র্ক ও ব্যাংককে জাতিসংঘের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১-২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির অধ্যাপক ছিলেন এবং সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইংল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া) এবং ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবাতেও (কানাডা) অধ্যাপনা করেছেন।
ড. আনিসুজ্জামান জার্নাল অব দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনোমি'র প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা সম্পাদক (১৯৯৫-২০০৮) ছিলেন এবং বর্তমানে এর সম্পাদকীয় পরিষদের সহ-সম্পাদক হিসেবে যুক্ত আছেন। এছাড়া তিনি ইকোনোমিক অ্যান্ড লেবার রিলেশনস রিভিউয়ের সম্পাদকীয় পরিষদের দায়িত্বেও আছেন।
তিনি পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতি এবং ম্যাক্রো-ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ব্যাপকভাবে গবেষণা করেছেন। তিনি কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা থেকে পিএইচডি ও এমএ ডিগ্রি করেছেন।
২০২৪ সালে আনিসুজ্জামান চৌধুরী অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইমেরিটাস অধ্যাপক’ নিয়োগ পান। একজন অধ্যাপকের জীবদ্দশায় তার অসাধারণ নেতৃত্ব, কৃতিত্ব, অর্জন ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের এই ইমেরিটাস অধ্যাপক উপাধি দেওয়া হয়।
Advertisement
তার রচিত ও সম্পাদিত ২৫টির বেশি বইয়ের পাশাপাশি আরও প্রকাশিত হয়েছে শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ। এছাড়া বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে তুলে ধরতে তার কর্মজীবন নিয়ে দুটি বই ইংরেজিতে সম্পাদনা করেছেন তিনি।
এএএইচ/বিএ