জাতীয়

৩৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার ও ব্যাংকের দেড় হাজার কোটি টাকা জব্দ

বিদেশে পাচার ২৩৪ কোটি বিলিয়ন ডলার দেশে ফিরিয়ে আনতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা অনুসন্ধানে কাজ করছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) ও যৌথ তদন্ত দল (জেআইটি)।

Advertisement

তদন্ত শেষে এখন পর্যন্ত ১৮৮টি বিও হিসাবে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার ও এক হাজার ৩৭৪টি ব্যাংক হিসাবের ৬১৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা (যা ২.৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ) ফ্রিজ (অবরুদ্ধকরণ) করেছে বিএফআইইউ।

এছাড়া যৌথ তদন্ত দল ১১টি অগ্রাধিকার প্রাপ্ত ২৩ ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ অবরুদ্ধকরণ ও সংযুক্তকরণ করেছে। তার মধ্যে এক হাজার ৮১৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকার দেশীয় সম্পদ সংযুক্তকরণ, অবরুদ্ধকৃত ব্যাংক হিসাবে স্থিতি ৮৭২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এছাড়া ১৯ হাজার ৬৮ কোটি টাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়। এছাড়া এক হাজার ২৪৬ দশমিক ৭০ মার্কিন ডলার ও ৩৭ দশমিক ৯৭ লাখ পাউন্ড এবং ১১৭ দশমিক ৫ লাখ ইউরো মূল্যের সম্পদ টকের আদালত ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন ছেলের টিউশন ফি’র নামে একজন পাচার করেছেন ৫০০ কোটি টাকা কেম্যান আইল্যান্ডস ও পাঁচ দেশে শেখ হাসিনার সম্পদের সন্ধান মিলেছে

সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ১১টি অগ্রাধিকার প্রাপ্ত মামলার অগ্রগতির সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

Advertisement

তিনি জানান, বিএফআইইউ যেসব তথ্য পেয়েছে সেসব তথ্য ও প্রতিবেদন যৌথ তদন্ত দলের কাছে পাঠিয়েছে। তার মধ্যে ১০টি মামলার গোয়েন্দা প্রতিবেদন, সকল দেশি-বিদেশি ব্যাংক হিসাবের তথ্য, বিদেশে বিনিয়োগকৃত সম্পদের সংশ্লিষ্ট প্রাপ্ত তথ্য। এছাড়া যেসব ব্যাংক ও হিসাব ফ্রিজ (অবরুদ্ধকরণ) করা হয়েছে সে তথ্য পাঠানো হয়েছে।

আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যৌথ তদন্ত দল চারটি কেসে ইতিপূর্বে দায়িত্ব মামলা তদন্তাধীন, ৮৪ জন অভিযুক্তের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অভিযুক্তদের নামে বিভিন্ন দেশের সম্পদ বিনিয়োগের তথ্য উদঘাটন করে।

এমইউ/বিএ

Advertisement