জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের স্টাফদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। যার কারণে সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরের পর প্রায় ঘণ্টাখানেক হাসপাতালে স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
Advertisement
এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ প্রতিনিধি ও ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠক হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কেনান জাগো নিউজকে বলেন, রক্ত সংগ্রহের বিষয় নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের স্টাফদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে। ঘণ্টাখানেক আমাদের সেবা ব্যাহত হয়েছিল। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। এরই মধ্যে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে সম্মানজনক সমাধান করেছি। হাসপাতালের সব সেবা চলমান।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান জাগো নিউজকে বলেন, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) আহত শিক্ষার্থীরা তাদের কিছু দাবি হাসপাতালটির পরিচালকের কাছে করেছিলেন। পরিচালক ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছেন দাবি মেনে নেওয়ার। এরপর দুই পক্ষ একে অপরের কাছে ক্ষমা চেয়ে সমঝোতা করেন।
Advertisement
মারামারিতে উভয়পক্ষের আহত হয়েছেন কতজন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিভিয়ার আহত কেউ হয়নি। হালকা হাতাহাতি হলে যা হয় সে রকম হয়েছে।
এসইউজে/টিটি/বিএ