খেলাধুলা

অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গে পারলো না চমক দেখানো গুলশান ক্রিকেট ক্লাব

মোহামেডানের মতো তারকায় ঠাসা কাগজে-কলমের এক নম্বর দলকে হারিয়ে চমক দিয়ে শুরু। তারপর আর খবর নেই গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের। পরপর ২ খেলায় হারলো এক ঝাঁক তরুণে গড়া দলটি।

Advertisement

অন্যদিকে প্রথম দিন চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে হারিয়ে পরের খেলায় হেরে বসেছিল অগ্রণী ব্যাংক। তবে আজ সোমবার বিকেএসপি ৩ নম্বর মাঠে বেশ সহজেই ৬ উইকেটে তারা হারিয়ে দিয়েছে গুলশান ক্লাবকে। যে দুই তরুণ উইলোবাজের উত্তাল উইলোবাজিতে লণ্ডভণ্ড হয়েছিল মোহামেডানের শক্তিশালী বোলিং। সেই জাওয়াদ আবরার আর ইফতিখার ইফতি আজ রান পাননি। বাঁহাতি স্পিনার আরিফ আহমেদ (৩/২৮) আর দুই পেসার রুয়েল মিয়া ও রবিউল হকের (দুজনই দুটি করে উইকেট) সাঁড়াশি বোলিংয়ে মাত্র ২২২ রানে থেমে যায় খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা। এই রানটাও হয়তো হতোনা। হয়েছে লিটন দাসের কারণে। প্রথম খেলায় সুবিধা করতে না পারলেও আজ ৬২ বলে ৬০ রানের এক ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলের লিটন। জবাবে অগ্রণী ব্যাংক ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে ৬ বল আগেই। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট খেলে খেলে যারা হাত পাকিয়ে ফেলেছেন, সেই দুই প্রতিষ্ঠিত পারফরমার মার্শাল আইয়ুব (৫৪ বলে ৪০*) আর তাইবুর পারভেজ (৩৯ বলে ৩৫*) পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৭৩ রান তুলে দল জিতিয়ে সাজঘরে ফেরেন।

এর আগে ওপেনার সাদমান ইসলাম ০ আর অধিনায়ক ইমরুল কায়েস মাত্র ৩ রানে ফিরলে ৯ রানে ২ উইকেট খোয়া যায় অগ্রণী ব্যাংকের। অপর ওপেনার ইমরানউজ্জামান (৯৮ বলে ৭৫) আর অমিত হাসান (৯৪ বলে ৬৩) তৃতীয় উইকেটে ১২৪ রান তুলে শুরুর সেই ধাক্কা কাটিয়ে দেন। পরে মার্শাল আইয়ুব আর তাইবুর পারভেজ দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিলে অগ্রণী ব্যাংক ৩ খেলায় পায় দ্বিতীয় জয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর গুলশান ক্রিকেট ক্লাব: ৪৯ ওভারে ২২২/১০ (জাওয়াদ আবরার ৩, আজিজুল হাকিম তামিম ১২, লিটন দাস ৬০, খালেদ ২৩, ইফতিখার ইফতি ১৮, হাবিবুর শেখ মুন্না ২১, মইনুল ২২, নিহাদউজ্জামান ১৯, মেহেদী হাসান ১৫; আরিফ আহমেদ ৩/২৮, রুয়েল মিয়া ২/৩৭, রবিউল হক ২/৩৭)।

Advertisement

অগ্রণী ব্যাংক: ৪৯ ওভারে ২২৬/৪ (সাদমান ইসলাম ০, ইমরানউজ্জামান ৭৫, ইমরুল কায়েস ৩, অমিত হাসান ৬৩, মার্শাল আইয়ুব ৪০*, তাইবুর পারভেজ ৩৫*; মেহেদী হাসান ২/৪০, আজিজুল তামিম ১/৫২)।

ফল: অগ্রণী ব্যাংক ৬ উইকেটে জয়ী।

এআরবি/এমএমআর/এএসএম

Advertisement