দেশজুড়ে

পাঁচ দাবিতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের বিক্ষোভ

এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।

Advertisement

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় হাসপাতালের বহির্বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। এতে বিপাকে পড়েন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।

বিক্ষোভকালে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলেন, ডাক্তার পদবি শুধু এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রিধারীদের জন্য সীমিত রাখতে হবে। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী এমবিবিএস অথবা বিডিএস ছাড়া কেউ চিকিৎসক পরিচয় দিতে পারবেন না। খুব শিগগির ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং বিসিএসের চাকরিতে প্রবেশ বয়সসীমা ৩৪ বছর পর্যন্ত বাড়াতে হবে। মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে।

হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা আরও বলেন, দাবি মেনে না নিলে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হাসপাতালের আউটডোরে তালা দেওয়া থাকবে। এসময় আউটডোরের সব সেবা বন্ধ থাকবে।

Advertisement

এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে দুপুরে বিক্ষোভে অংশ নেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরাও।

এর আগে শনিবারও (৮ মার্চ) একই দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন চিকিৎসকরা। পাঁচ দফা হচ্ছে-

১. ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা। যা ২০১০ সালে তৎকালীন সরকার দিয়ে গেছে;

২. উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ আপডেট করা। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা;

৩. স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত শূন্যপদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে ষষ্ঠ গ্রেডে চাকরি প্রবেশপথ তৈরি। প্রতিবছর ৪-৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪-এ উন্নীত করা;

Advertisement

৪. বেকার তৈরির কারখানা সব ম্যাটস প্রতিষ্ঠান এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে এরইমধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থী এবং ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (ডিএমএফ) ডিগ্রিধারীদের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা; এবং

৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা।

আহমেদ জামিল/এসআর/জেআইএম