ক্যাম্পাস

আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ দিলেন জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতাকারী!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শেখ রাসেল হলের অভ্যন্তরে ছাত্রদলের টানানো ব্যানার নামানোর ঘটনায় জুলাই আন্দোলনে আহত একজনের বিরুদ্ধে হল প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন সাইদুর রহমান সীমান্ত নামের একজন। সীমান্ত জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী। আন্দোলনের সময় ফেসবুক এবং অভ্যন্তরীণ মেসেঞ্জার গ্রুপে বিরোধিতার কিছু স্ক্রিনশট সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে।

Advertisement

সীমান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

ব্যানার নামানোর ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আলীকে।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া কিছু স্ক্রিনশটে দেখা যায়, সীমান্ত জুলাই আন্দোলনকে একটা ‘চক্রান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সেখানে তিনি আন্দোলনকারীদের ‘হুজুগে বাঙালি’ বলেন।

Advertisement

সেখানে তিনি আরও বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজনীতির শিকার হচ্ছেন। যাদের পড়াশোনার প্রতি ডেডিকেশন নেই তারা আন্দোলনে যাচ্ছেন। এছাড়া ‘সময় আসবে’ বলে হুমকি দিতে দেখা যায় ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটে।

আন্দোলনে বিরোধিতার কথা স্বীকার করে সাইদুর রহমান সীমান্ত বলেন, ‘আমি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমার যেহেতু কোটা আছে (মুক্তিযোদ্ধা কোটা), সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য ১৫ তারিখের কিছু মানুষের সঙ্গে মেসেঞ্জারে বা বিভিন্নভাবে কথা হয়েছে।

সীমান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি শেখ রাসেল হলের অভ্যন্তরে ছাত্রদলের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের আগমনের শুভেচ্ছা ব্যানার খুলে ফেলেন শাকিল আলী। তিনি জানান, ৫ আগস্টের পর শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা মিলে সিদ্ধান্ত নেন, হলের অভ্যন্তরে কোনো প্রকার রাজনৈতিক কার্যকলাপ, রাজনৈতিক রুম, গেস্টরুম, ব্যানার পোস্টার, স্লোগান, র‍্যাগিং এসব আর হতে দেওয়া হবে না। তার ভিত্তিতে ব্যানার খুলেছেন তিনি।

Advertisement

হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন বলেন, সীমান্তের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। সে প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা শাকিলকে শোকজ করে ১১ তারিখের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের তদন্তে কিছু ত্রুটি থাকায় আমরা শোকজ স্থগিত করেছি। দু-একদিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সমাধানের লিখিত নোটিশ দেবো।

সৈকত ইসলাম/এসআর/জিকেএস