জাতীয়

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাই, ‘মব’ শঙ্কায় হাইওয়ে পুলিশ

• পুড়ে যাওয়া ১২ পিকআপ ও ৩ রেকারের বিকল্প মেলেনি• ভাড়ার গাড়িতে চলছে পুলিশি কার্যক্রম• ২৫০ অতিরিক্ত ফোর্স বরাদ্দ মহাসড়কে

Advertisement

দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন হিসেবে ধরা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে। বন্দর শহর চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়কপথে সারাদেশের মেলবন্ধন তৈরি করে দেশের প্রধান এ মহাসড়ক। সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ছাড়াও সারাদেশের পণ্য পরিবাহিত হয় মহাসড়কটি দিয়ে। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের অধিকাংশ পণ্যও এ মহাসড়ক দিয়ে পরিবাহিত হয়। সম্প্রতি ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে উঠেছে মহাসড়কটি। ভুক্তভোগীরা বলছেন, হাইওয়ে পুলিশের অদক্ষতা ও নির্লিপ্ততায় ডাকাতি-ছিনতাইয়ের প্রবণতা বেড়েছে। সরকার পতনের পর হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে থানা পুলিশের পর হাইওয়ে পুলিশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের ১২টি পিকআপভ্যান, তিনটি রেকার এবং একটি মিনি ট্রাক পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে অভিযানে ভাটা পড়ে হাইওয়ে পুলিশের। সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই বাড়ায় বেকায়দায় পড়েছে মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ প্রতিষ্ঠানটি।

মহাসড়কের পাহাড়ায় বিশেষায়িতভাবে দায়িত্বে রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। কিন্তু আমরা পরিবহন ব্যবসায়ীরা হাইওয়ে পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না।- মোর্শেদ হোসেন নিজামী

পাশাপাশি ‘মব’ নামে সাধারণ জনতার আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতাতেও শঙ্কয় পড়েছেন হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরি প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৫০টি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভাড়ায় গাড়ি নিয়ে আইনশঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

Advertisement

আরও পড়ুন রাতের বাসে ডাকাত আতঙ্ক, কমছে যাত্রী মধ্যরাতে সড়কে গাছ ফেলে গণডাকাতি থামছে না ডাকাতি, রাতের আতঙ্কের নাম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

পুলিশ, ভুক্তভোগী এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী ছয় মাসে বেশ কয়েকটি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। মহাসড়কের সীতাকুণ্ড, মীরসরাই, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও দাউদকান্দি এলাকায় এসব ঘটনা বেশি দেখা গেছে। এরমধ্যে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস থেকে শুরু করে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যানও ডাকাতির শিকার হচ্ছে।

গত ২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম থেকে ১৫ টন ঢেউটিন নিয়ে মুন্সিগঞ্জে যাওয়ার পথে দাউদকান্দি সেতুর পর ডাকাতির কবলে পড়ে বিসমিল্লাহ ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির একটি ট্রাক। পরদিন গাড়িটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার ফ্যাক্টরির পাশে খালি অবস্থায় পাওয়া যায়।

সাধারণ মানুষ আইন হাতে তুলে নেওয়ার, ‘মব’ করার যে প্রবণতা দেখাচ্ছে, তাতে পুলিশের সাধারণ সদস্যদের মধ্যে কিছুটা আশঙ্কা কাজ করছে। এরই মধ্যে পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে সবসময় পেশাদার আচরণ বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।- পুলিশ সুপার খাইরুল আলম

১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে মীরসরাইয়ে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে আরমান ট্রেডার্সের একটি গাড়ি। এসময় ছিনতাইকারীরা চালকের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। চালক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোনকল করলে ছিনতাইকারীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে এবং গাড়ির গ্লাসে ভাঙচুর করে সেখান থেকে চলে যায়।

Advertisement

গত ৯ ডিসেম্বর রাতে মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের পন্থিছিলা এলাকায় একটি প্রাইভেটকার ডাকাতি করে একদল ডাকাত। ঘটনাস্থল পার হওয়ার সময় ডাকাতদল গাড়িটি লক্ষ্য করে লোহার পাত ছুঁড়ে মারে। এসময় চালক প্রাইভেটকারটি থামালে গাড়ির মালিক নুরুজ্জামান ও গাড়িচালককে জিম্মি করে টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয় ডাকাতদল। টহল পুলিশ ডাকাতদলকে ধাওয়া দিলে ডাকাতের গুলিতে আরেক ডাকাত নিহত হন।

বগুড়া থেকে ১৫ টন (৩০০ বস্তা) চাল নিয়ে কক্সবাজারে যাওয়ার পথে গত ১৫ জানুয়ারি ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিরাশ্বনী এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির শিকার হয় কিবরিয়া ট্রেডার্স অটো রাইস মিলের একটি ট্রাক। এসময় ডাকাতদল ট্রাকচালক মিরাজুল ও হেলপার রবিউলের চোখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে মাইক্রোবাসে তুলে মহাসড়কের দৈলবাড়ি এলাকায় ফেলে ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় ৩৮ দিন পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ট্রাকটি খালি অবস্থায় গাজীপুর থেকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।

ট্রাকটির চালক মিরাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ১৫ জানুয়ারি ভোরে চৌদ্দগ্রাম থেকে আমাদের ট্রাকটি ডাকাতি হয়। ডাকাতরা পুলিশের পোশাক পরা অবস্থায় ছিল। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল। প্রথমে পুলিশ দেখে গাড়ি থামাই। তাদের কথামতো গাড়ি থেকে নামলে আমাদের চোখ বেঁধে অন্য একটি গাড়িতে তুলে কিছুদূর নিয়ে ফেলে দেয়। দুদিন পর আমি চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেছি। এখন মহাসড়কটি অনিরাপদ হয়ে পড়ছে। মহাসড়কে জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ১ মার্চ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ফাল্গুনকরা এলাকায় দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে কুয়েতপ্রবাসী নাইমুল ইসলাম এবং ১ মার্চ একই স্থানে মালয়েশিয়াফেরত বেলাল হোসেনকে বহনকারী প্রাইভেটকারে ডাকাতি হয়।

আরও পড়ুন কুমিল্লায় ছিনতাই-চাঁদাবাজি বন্ধে মহাসড়ক অবরোধ চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই ঠেকাতে নাজেহাল পুলিশ বেপরোয়া ছিনতাইকারী চক্র, রাত হলেই আতঙ্ক

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মুখোশ পরা ৮-১০ জনের ডাকাতদল পিকআপ নিয়ে প্রথমে বহনকারী প্রাইভেটকারে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার খাদে নামিয়ে দেয়। এরপর প্রাইভেটকারের জানালা ভেঙে মূল্যবান জিনিসপত্র, টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট করে।

গত ১৫ জানুয়ারি চালের ট্রাক ডাকাতি ও ২৭ ফেব্রুয়ারি কুয়েত প্রবাসী নাইমুল ইসলামকে বহনকারী গাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৪ মার্চ রাতে দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।

ট্রাক কাভার্ডভ্যান প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোর্শেদ হোসেন নিজামী জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি দেশের প্রধানতম মহাসড়ক। সম্প্রতি এ মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। মহাসড়কটিতে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। পরিস্থিতি উন্নয়নে আমরা পুলিশ ও প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।

তিনি বলেন, মহাসড়কের পাহারায় বিশেষায়িতভাবে দায়িত্বে রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। কিন্তু আমরা পরিবহন ব্যবসায়ীরা হাইওয়ে পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না। তারা (হাইওয়ে পুলিশ) ডাকাতি ছিনতাই রোধে কাজ করার চেয়ে পণ্যবাহী পরিবহনগুলোকে হয়রানি বেশি করছে। গত মাসে আমরা তাৎক্ষণিক সমাবেশ করেও বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছি। এরপর মহাসড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী পরিবহনে কিছুটা হয়রানি কমলেও ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে।

‘আমরা এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছি। গাড়ির চালক ও হেলপারদের হয়রানি রোধসহ মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাই রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও আহ্বান জানিয়েছি’- বলেন তিনি।

দেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) জেনারেল বডি সদস্য ও ব্যবসায়ী মাহবুব রানা জাগো নিউজকে বলেন, দিন দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অনিরাপদ হয়ে উঠছে। বিশেষত গত কয়েকমাসে আইনশঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। প্রতিনিয়ত ডাকাতি-ছিনতাই হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ একেবারে নির্বিকার।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক। কিন্তু দিনের পর দিন ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এসব ঘটনায় আমদানি ও রপ্তানিকারক উভয়পক্ষই ক্ষতির শিকার হন। আবার যে পরিবহনটি ডাকাতের কবলে পড়ছে, সেটিও ক্ষতির মুখে পড়ে। আবার দেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটিতে ডাকাতি-ছিনতাই বাড়লে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়। সরকারের উচিত মহাসড়কটিকে নিরাপদ করা। ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনা করে হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়ন। হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খাইরুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মহাসড়কের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় হাইওয়ে পুলিশ নিরলস কাজ করছে। বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন সাভারে চলন্ত বাসে ফের ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে লুটপাট মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে ডাকাতি মহাসড়কে ডাকাতি বাড়ায় হাইওয়ের ওসি প্রত্যাহার

‘মূলত জনবল সংকট এবং লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবে হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়ে আসছিল। আমরা হেডকোয়ার্টার থেকে পর্যাপ্ত ফোর্স চেয়েছিলাম। এরই মধ্যে ২৫০টি ফোর্স পাওয়া গেছে। এসব ফোর্স ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মোতায়েন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশ লজিস্টিক সমস্যাতে ভুগছে। এরমধ্যে পরিবহন সংকট প্রকট হয়েছে। বিশেষত ৫ আগস্টের ঘটনায় কুমিল্লা রিজিয়নের ১২টি পিকআপ, তিনটি রেকার, একটি তিনটনি মিনি ট্রাক একেবারে পুড়ে গেছে। এতে পুলিশি কার্যক্রমে যানবাহন সংকট তীব্র হয়। আবার এসব যানবাহনের রিপ্লেসমেন্টও এখনো হয়নি। এখন ভাড়ায় গাড়ি নিয়ে টহল কার্যক্রম চালাচ্ছি।

হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আস্থার সংকট রয়েছে কি না- জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশের প্রত্যেক সদস্য পেশাদার। হাইওয়ে পুলিশের প্রত্যেকের মধ্যে দায়িত্বশীলতা রয়েছে। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ আইন হাতে তুলে নেওয়ার, ‘মব’ করার যে প্রবণতা দেখাচ্ছে, তাতে পুলিশের সাধারণ সদস্যদের মধ্যে কিছুটা আশঙ্কা কাজ করছে। এরই মধ্যে পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে সবসময় পেশাদার আচরণ বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুটি ডাকাতির ঘটনার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি নিজেও সারারাত কাজ করি। বিশেষত হাইওয়ে টহল পুলিশদের কার্যক্রম মনিটরিং করি। সকালে স্বল্প সময়ের জন্য বিশ্রামে যাই। কিছু স্থানে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি।

‘ফেব্রুয়ারিতে দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। হাইওয়ে পুলিশের প্রত্যেক সদস্য পরিস্থিতি উত্তরণে কাজ করছে’- যোগ করেন তিনি।

এমডিআইএইচ/এমকেআর/জিকেএস