জামালপুরে গণপরিবহন সেক্টরে সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে জামালপুরে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
Advertisement
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল থেকে জামালপুর থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আজাদ নামে এক যাত্রী জানান, তিনি পাবনা ইপিজেডে চাকরি করেন। ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন, আজ তার ছুটি শেষ। পাবনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে জামালপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখেন পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
সদর উপজেলার শরিফপুর থেকে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আসেন পোশাককর্মী রাজু হাসান। তিনি বলেন, গার্মেন্টসে দুজনই চাকরি করি। সকালে তাদের কাজে যোগ দিতে হবে। রোজা নিয়ে এখন আবার শেরপুর জেলায় যেতে হবে। পরে সেখান থেকে ঢাকার বাসে উঠবো।
Advertisement
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুরের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আবিদ সৌরভ বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাস শ্রমিকরা হামলা করেন। এরপর থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ৫ আগস্টের পর সারাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার হলেও জামালপুরে পরিবহন সেক্টর আগের মতোই রয়েছে।
জামালপুর জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সোবহান জানান, ছাত্র আন্দোলনের নামে কতিপয় দুষ্কৃতকারী জামালপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে রাস্তা অবরোধ করে এবং যান চলাচলের বিঘ্ন ঘটায়। তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলে তারা সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং বাসস্ট্যান্ডের ভেতরে ঢুকে শ্রমিকদের ওপর হামলা করে। এমতাবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করা না হলে পরিবহন ধর্মঘট চলবে।
এর আগে গত রোববার সকালে দিকে জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জয়রামপুর এলাকায় রাজিব পরিবহনের একটি বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় একজন নিহত হন।
দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে দুপুরে ফেরিঘাট এলাকায় বাস শ্রমিকরা এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
Advertisement
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন সোমবার দুপুরে জামালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাজিব পরিবহনের সব বাস সার্ভিস বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। এসময় তারা গণপরিবহনে সংস্কারসহ বেশি কিছু দাবি জানান।
জেডএইচ/এমএস