জাতীয়

ইফতারের আগে সড়কে তীব্র যানজট, মেট্রোরেলেও ঠাঁই নেই

আজ দ্বিতীয় রোজার ইফতার। অফিস-আদালত শেষে ঘরমুখো মানুষ ইফতারের জন্য বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। এমন সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মেট্রোরেলের জন্য ঢাকাবাসী সুবিধা পেলেও রমজানে ইফতারের আগে ভিড় ঠেলে মেট্রোরেলে ওঠা যেন এক দুঃস্বপ্ন। ইফতারের দুই থেকে দেড় ঘণ্টা আগে মেট্রোরেলে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

Advertisement

সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর মহাখালী, বনানী, গুলশান, বাড্ডা, হাতিরঝিল, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, মতিঝিল, বেইলি রোড, মগবাজার, পল্টন ও গুলিস্তান এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বাসে থাকা অনেক যাত্রী যানজটের কারণে হেঁটে যাচ্ছেন। এসব সড়কে বাড়তি গাড়ির চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে দেখা যায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশদের।

রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওপরে মেট্রোরেল আর নিচে গাড়ির যানজট। যানজটের কারণে অনেককেই মেট্রোরেলে যেতে দেখা গেছে। তবে রিকশাসহ ছোট-বড় গাড়ির জন্য সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

রাজধানীর হাতিরঝিলে যানজট এড়িয়ে স্বস্তিতে যাতায়াত করেন সবাই। তবে ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে হাতিরঝিলেও তীব্র যানজট। হাতিঝিলে চলাচলকারী সিএনজিচালক আহমেদ কামাল জানান, নতুনবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে পুরান ঢাকায় যাচ্ছি। তবে হাতিরঝিলে যে যানজট তাতে ইফতারের আগে যেতে পারবো কি না জানি না।

Advertisement

বেইলি রোড এলাকায় হেঁটে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান বাশার নামের একজন যুবক। তিনি বলেন, বেইলি রোডে এত গাড়ি আর সড়কে দোকান তাতে হেঁটেই যাওয়া মুশকিল। গাড়ি আটকে অন্য সড়কে যানজট ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন অসহনীয় যানজট, ইফতারের আগে বাসায় ফেরা নিয়ে সংশয় ইফতারে বনানী-গুলশানের বড় রেস্তোরাঁ ফাঁকা, বেচাকেনা কম

অন্যদিকে সড়কে যানজটের কারণে যারা মেট্রোরেলে যাতায়াত করেন তাদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। মেট্রোরেলে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। একটি, দুটি, তিনটি করে চার-পাঁচটি মেট্রোরেল চলে গেলেও ভিড়ের কারণে যাত্রীরা উঠতে পারছেন না।

প্ল্যাটফর্মে ওঠে দেখা যায়, যেসব মেট্রোরেল উত্তরা থেকে মতিঝিলের দিকে আসছে সেগুলোতে তেমন কোনো যাত্রী নেই। এই মেট্রোরেলগুলোতে বড়জোর ২০০ থেকে ৩০০ জন যাত্রী আছেন। যদিও একটি মেট্রোরেলের মোট যাত্রী ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন।

আরও দেখা যায়, মতিঝিল থেকে আট মিনিট পরপর এক একটি ট্রেন সচিবালয়ের স্টেশনে এসে থামছে। কিন্তু ট্রেনগুলোতে চড়ার মতো কোনো অবস্থা নেই। প্রতিটি ট্রেন যাত্রীবোঝাই হয়েই সচিবালয় স্টেশনে আসছে। ফলে প্ল্যাটফর্মে যদি ২০০ জন যাত্রী থাকেন, তবে তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৭০-৮০ জন যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারছেন। বাকিদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরের ট্রেনের জন্য। এরই মধ্যে অন্তত আরও ২০০ জন যাত্রী প্ল্যাটফর্মে চলে আসছেন। ইফতারের আগে এমনই চাহিদা হয়েছে মেট্রোরেলের।

Advertisement

যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ইফতারের আগে সবারই তাড়া থাকে। সবাই চান বাসায় গিয়ে ইফতার করবেন। তবে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ সামলাতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরও হিমশিম খেতে হয়। ইফতারের আগে সবাই যেন বাসায় পৌঁছাতে পারেন সেজন্য তীব্র রোদ ও গরমে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক সদস্যরা।

টিটি/বিএ/এএসএম