অর্থনীতি

ইনফরমেশন সার্ভিসেস’র আর্থিক প্রতিবেদনে নিরীক্ষকের আপত্তি

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কের আর্থিক প্রতিবেদনে আপত্তি দিয়েছে নিরীক্ষক। কোম্পানিটির ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আদায় ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও তার জন্য কোনো সঞ্চিতি গঠন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। কোম্পানিটির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

Advertisement

ইনফরমেশন সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সমন্বয় ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক হিসাবে মুজিবুল হক এবং অন্যান্য নামে ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার তথ্য দেখিয়ে আসছে। যে অর্থ আদায়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করেছে। তবে ওই অর্থ আদায় নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যাতে করে পর্যাপ্ত সঞ্চিতি গঠন করা দরকার। তবে তারা কোনো সঞ্চিতি গঠন না করে সম্পদ বেশি দেখিয়ে আসছে।

এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ২০১১ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ইনফরমেশন সার্ভিসেসে এই হার মাত্র ২১.৬২ শতাংশ। 

কোম্পানিটিতে ৩ বছরের বেশি সময় ধরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৮ লাখ টাকার অবণ্টিত লভ্যাংশ রয়েছে। তারপরও বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ওই অর্থ ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) হস্তান্তর করেনি ইনফরমেশন সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইনফরমেশন সার্ভিসেসের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার ৩টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে আছে ২১ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭০ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ১২ শতাংশ আছে।

এদিকে কোম্পানিটি লোকসানে পতিত হয়েছে। চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ১৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য ২ টাকা ৯৬ পয়সা থেকে কমে ২ টাকা ৮৪ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এমএএস/এমএইচআর

Advertisement