দেশজুড়ে

শরীয়তপুরে ডাকাতদের গণপিটুনি, নদী থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার

শরীয়তপুরের কীর্তিনাশার শাখা নদী থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকায় ডাকাতির ঘটনায় গণপিটুনিতে ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

Advertisement

সোমবার (৩ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকার একটি শাখা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে একদল ডাকাত মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতি করতে গেলে গণপিটুনি দিয়ে সাতজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন শরীয়তপুরে ডাকাতির চেষ্টা, গণপিটুনিতে নিহত ২ শরীয়তপুরে ডাকাতি: আরও একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ ডাকাতির চেষ্টাকালে গণপিটুনিতে আহত আরও একজনের মৃত্যু

এদিকে রোববার বিকালে শরীয়তপুর জেলা লাগোয়া ও মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের বিদ্যাবাগিস এলাকার কীর্তিনাশা নদীতে আরও একটি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরে ডাকাতির চেষ্টা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পালং মডেল থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে পালং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন। এতে গণপিটুনিতে আহত পাঁচ ডাকাতসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার হওয়া মরদেহটির শরীরে আঘাত ও জখমের চিহ্ন রয়েছে। আমরা ধারণা করছি গণপিটুনি শেষে ওই ব্যক্তিকে নদীকে ফেলে দেওয়া হয় কিংবা পানিতে পড়ে যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিধান মজুমদার অনি/এমএন/জিকেএস

Advertisement