পাকিস্তানকে বাজেভাবে হারানোর পরও মন ভরেনি আইয়ারের

‘যত গর্জে তত বর্ষে না’- বাংলা ভাষায় জনপ্রিয় প্রবাদ এটি। পাকিস্তানে এ ধরনের প্রবাদ লোকমুখে শোনা যায় কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে ক্রিকেটভক্ত ও মিডিয়া যেভাবে ভারতকে হুমকি দেয় আর মাঠে পাকিস্তান যে পারফর্ম করে, তাতে প্রবাদের সত্যতা মেলে।

গতকাল রোববার দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানকে ৬ উইকেট আর ৪৫ বল হাতে রেখে হারায় ভারত। রোহিত শর্মার দলের বিপক্ষে লড়াইটাও ঠিক মতো করতে পারেনি পাকিস্তান।

তবে পাকিস্তানকে এমনভাবে হারানোর পরও যেন মন ভরেনি ভারতের হয়ে রোববার ৬৭ বলে ৫৬ রান করে শ্রেয়ার আইয়ারের। ম্যাচের পর তার কণ্ঠে আক্ষেপের সুরই যেন শোনা গেল।

সংবাদ সম্মেলনে এসে শ্রেয়াস আইয়ার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘আপনি কি শুধু বলতে পারেন, কত ওভার বাকি ছিল? ৪৫ বল?’

এরপর তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, একটু আগেই জিততে পারতাম। (তাহলে) এটি আরও নির্ভরযোগ্য জয় হতো।’

পাকিস্তান আগে ব্যাট করে ২৪১ রানে অলআউট হয়। ইনিংসের মাঝেও এমন কিছু করতে পারেনি পাকিস্তান, যাতে ভারতের মনে ভয় তৈরি হতে পারে। ২৪২ রানের লক্ষ্য তাড়ায়ও ভারত খেলেছে বেশ অনায়েসেই।

আইয়ার বলেন, ‘যদি আমরা আরও আক্রমণাত্মক খেলতে পারতাম, তাহলে আরও আগেই জয় পেতে পারতাম।’

রোববার পাকিস্তানের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন লেগস্পিনার আবরার আহমেদ। ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি। আইয়ারের মোকাবেলা করা বেশিরভাগ বলই বের হয়েছে আবরারের হাত থেকে। যে কারণে আবরারের প্রশংসা না করে পারেননি আইয়ার।

ভারতীয় ব্যাটার বলেন, ‘আমি মনে করি আবরার দুর্দান্ত বোলিং করেছে। ওই সময় তার স্পেল সামলানো এবং একসঙ্গে রান নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটা করতে কিছুটা সময় লেগেছিল, তবে একবার চোখ সেট হয়ে যাওয়ার পর আমি ভেবেছিলাম সুইপ এবং রিভার্স সুইপ ভালো বিকল্প হবে। যাতে তাদের চাপে ফেলা যায়। আমি মনে করি, সেটা আমার জন্য ভালো কাজ করেছে।’

‘আবরারের বলে নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সহজ ছিল না। ওই পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব সিঙ্গেল নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং দলকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া দরকার ছিল। একবার আমরা ৩০-৪০ রানে পৌঁছে গেলে সেখান থেকে গতি বাড়ানো সহজ হয়ে যায়।’

৩০ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটার বলেন, ‘আক্রমণাত্মক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ, তবে নেমেই মারতে শুরু করা সহজ নয়। আপনাকে উইকেটের গতি বোঝতে হবে এবং বল কেমন ব্যাটে আসছে তা দেখতে হবে। যদি আপনি প্রতিটি বলে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখান, তাহলে একজন ব্যাটসম্যানের জন্য তা কঠিন হয়ে যায়।’

‘উত্তম পদ্ধতি হলো কিছুটা সময় নেওয়া, দেখুন বল কেমন আসছে এবং বলকেই কথা বলতে দিন’- যোগ করেন আইয়ার।

এমএইচ/জিকেএস