লাইফস্টাইল

বৃষ্টিতে ভিজে জ্বরের আতঙ্কে আছেন? জেনে নিন বাঁচার উপায়

ঋতু পরিবর্তনের সময় হুটহাট বৃষ্টি খুবই স্বাভাবিক। আর যখন-তখন বৃষ্টির কারণে ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও ভিজতে হয় অনেক সময়। এরপরই শুরু হয় আতঙ্ক। এই বুঝি জ্বর হলো। গরমের মধ্যে বৃষ্টি শান্তির পরশ বুলিয়ে দিলেও ভোগায় অনেককে। বৃষ্টির পানিতে ভিজলে জ্বরে আক্রান্ত হন অনেকেই। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা থাকেন ঝুঁকিতে। তবে একটু সতর্কতা অবলম্বন করলেই কমে যাবে আতঙ্ক।

Advertisement

এজন্য জানতে হবে মৌসুমি জ্বর সম্পর্কে। একই সঙ্গে জানতে হবে কি করলে বাঁচা যাবে এর হাত থেকে। মৌসুমি জ্বর বা ভাইরাল ফিভারের খুবই কমন লক্ষণ হচ্ছে- হাঁচি-কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে থাকা, সারা শরীরে ব্যথা, মাথা ভার হয়ে থাকা, খাওয়ায় অরুচি, মুখে তিতাভাব ইত্যাদি।

বিশেষ করে এই সময় মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। কেননা শীতের রুক্ষতা শেষে প্রকৃতিতে বইছে বসন্তের হাওয়া। ঠান্ডা থেকে গরমের দিকে যাচ্ছে আবহাওয়া। হচ্ছে যখন-তখন বৃষ্টিও। ফলে বেড়ে গেছে বিভিন্ন মৌসুমি রোগের প্রবণতা। এ সময় সতর্ক থাকা অনেক বেশি জরুরি।

বৃষ্টিতে ভিজতে পছন্দ হলেও এই সময়ে সেই পছন্দ ত্যাগ করতে হবে। তাই বাইরে বেরোনোর সময় ছাতা, রেইনকোট সঙ্গে রাখা জরুরি। যাত্রাপথে হঠাৎ বৃষ্টিতে আটকে গেলে যতটুকু সম্ভব মাথা ভেজা এড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। নিরাপদ স্থানে পৌঁছে মাথা মুছে নিতে হবে এবং ভেজা কাপড় যত দ্রুত সম্ভব পাল্টে ফেলতে হবে। বৃষ্টিতে ভেজার পর সম্ভব হলে অবশ্যই গোসল করতে হবে। গোসলের সুযোগ না থাকলে কমপক্ষে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এসময় আদা, লেবু দিয়ে লাল চা, গরম দুধ, সুপ ইত্যাদি খেলে ভালো লাগবে।

Advertisement

আরও পড়ুন-দীর্ঘ কর্মঘণ্টা উৎপাদনশীলতা বাড়ায় নাকি ঝুঁকিতে ফেলে?দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও অবসাদ এড়িয়ে যাবেন না যে কারণে

এসময় বেড়ে যায় মশার উপদ্রব। এর থেকে বাঁচার জন্য মশার কয়েল, অ্যারোসল, মশারি, ধূপ ব্যবহার করতে হবে। তবে মশার কয়েল, অ্যারোসল ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। দিনের বেলায় একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ডেঙ্গু আর চিকনগুনিয়া’র জন্য দায়ী এডিস মশা দিনের বেলা কামড়ায়।

কেউ যদি মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যথা সম্ভব আলাদা রাখা উচিত। এ জ্বর ছোঁয়াচে না হলেও আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে। রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। তবে ওষুধ কম খাওয়া স্বাস্থ্যর জন্য ভালো।

মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে একটু বিশেষভাবে যত্ন করা জরুরি। এ সময় রোগীর মাথা পানি ঢালা ও জলপট্টি দেওয়া ভালো। খাবারের ক্ষেত্রেও আলাদা নজর দিতে হবে। প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে হবে। পানির পাশাপাশি ডাবের পানি, স্যালাইন, ফলের সরবত ইত্যাদি পান করতে হবে। জ্বর সারাতে ভিটামিন-সি আছে এমন ফল যেমন- আনারস, জাম্বুরা, কমলা, আমড়া, লেবু অত্যন্ত উপকারী।

সবশেষ জ্বর হলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে যে, শুধুই মৌসুমি জ্বর, নাকি তা টাইফয়েড, জন্ডিস, নিউমোনিয়ার দিকে মোড় নিচ্ছে। মৌসুমি জ্বরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে অন্যকিছু হলে ভোগান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।

Advertisement

জেএস/জেআইএম