রমজানে ভোগ্যপণ্যের অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
Advertisement
তিনি বলেছেন, খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে সেই খাদ্য যায় না। গুদামে পড়ে থাকে, লুকিয়ে রাখা হয়। এগুলো যেন কোনোভাবেই না হয়। রোজার সময় আমরা এটি এনসিওর (নিশ্চিত) করবো।
ভোগ্যপণ্যের বাজারে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যেন কোনো রকমের কারসাজি না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসকদের স্থানীয়ভাবে মনিটরিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
৬ মাসে কমেছে মূল্যস্ফীতি, বাড়তি ভ্যাটে দাম বাড়বে রমজানে রমজানে ১৫ টাকায় চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবারসভা শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, আজকে অনেক দীর্ঘ মিটিং হয়েছে, অনেকগুলো এজেন্ডা ছিল। তার মধ্যে চাল, সার আমদানি, সারের গুদাম তৈরি করা, কিছু রাস্তা, ব্রিজ ও বন্দরের রাস্তার বিষয় রয়েছে। আজকে যেটা করা হয়েছে সেটা হলো অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য, আর কতোগুলো আছে ভৌত অবকাঠামো সেগুলো আমরা অনুমোদন দিয়েছি৷
তিনি বলেন, আমাদের ভৌত অবকাঠামোগুলো বিরাট বিরাট মেগা প্রকল্প না। আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অত্যন্ত দরকারি। এর মধ্যে ব্রিজ ও রাস্তা রয়েছে কতগুলো। এই হলো আমাদের ক্রয় কমিটিতে।
ক্রয় কমিটির প্রায় প্রতি বৈঠকেই চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রকৃত খাদ্য পরিস্থিতিটা কেমন এখন? এ প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখন তো খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। এখন অন্য পণ্যে দাম বাড়বে-কমবে। আমি বলেছি একটা মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্য থাকে, সেখানে একটা কমবে একটা বাড়বে। সার্বিকভাবে বা মোটাদাগে যদি দেখেন মোটামুটি সহনীয়। আমাদের পরিসংখ্যান বলছে, খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, রমজান চলে আসছে, আমরা বাজার মনিটরিং আরও বাড়াবো। সেটি ডিসি সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন। আমিও তাদের বলেছি স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং করার জন্য। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যেন কোনো রকমের কারসাজি না হয়।
‘রমজানে আমরা এটি এনসিওর (নিশ্চিত) করবো। আপনারা দেখবেন আমরা বিশেষ সেলস সেন্টার করেছি। সুতরাং সাধারণ মানুষের যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অসুবিধা না হয়, সেটি আমরা নিশ্চিত করবো।’
আরও পড়ুন
সরকার চাইলে রমজানে বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কাজ করবে সেনাবাহিনী ব্যবসায়ীরা হতাশ, শিগগির দাম বাড়বে প্রক্রিয়াজাত পণ্যেরমাতারবাড়ি প্রকল্প নিয়ে এক প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, হ্যাঁ, মাতারবাড়ি একটি বড় প্রজেক্ট, কিন্তু বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে। মাতারবাড়িতে পাওয়ার সাপ্লাই আছে। জাপানিজরা করেছে, জাপানিজ গ্রান্ড (অনুদান)। আপনারা জানেন, জাপানি অনুদানের শর্তগুলো খুবই সহনীয়। আরেকটা সুবিধা হলো, এ পর্যন্ত জাপান যে ঋণ দিয়েছে কয়েক বছর তা অনুদান করে দেয়। এটা খুব ভালো একটা প্রজেক্ট। এটার রোডের ব্যাপার আছে, আর কিছু নির্মাণকাজ আছে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো মাতারবাড়ি একটি ইন্টিগ্রেটেড প্রজেক্ট। পোর্ট অথরিটি ওখানে চট্টগ্রাম পোর্টের একটা জেটি করবে। ওখানে একটা প্রাইভেট জেটি অলরেডি আছে। এ প্রকল্পের সুবিধা হলো সেখানে পোর্টের কিছু সুযোগ-সুবিধা বাড়বে এবং পাওয়ার জেনারেট হবে। উপকরণগুলো সব জাপানি। বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে, এখন শুধু বাকিটা করা হবে।
এমএএস/এমকেআর