তাওহিদ হৃদয়ের বীরোচিত সেঞ্চুুরিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে সম্মানজনক পুঁজি গড়েছে বাংলাদেশ। ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রান করে অলআউট হয়েছে টাইগাররা। জিতে টুর্নামেন্ট শুরু করতে হরে এই রানের মধ্যেই ভারতীয়দের আটকাতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।
Advertisement
আজ বৃহস্পতিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ৩৫ রানেই ৫ উইকেটে হারিয়ে ফেলে তারা। আসা-যাওয়ার মিছিলে যুক্ত হন ওপেনার সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, ওপেনার তানজিদ তামিম ও মুশফিকুর রহিম। পাওয়ার প্লেতে রান হয় মাত্র ৩৯।
৫ বল খেলে কোনো রান করে ইনিংসের প্রথম ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে উইকেটের পেছনে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ হন সৌম্য।
হর্ষিত রানার পরের ওভারে শর্ট কভারে কোহলিকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনিও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
Advertisement
তৃতীয় উইকেটে মিরাজকে নিয়ে কিছুটা স্থির হওয়ার চেষ্টা করেন তানজিদ। কিন্তু ২৪ রানের জুটি ভাঙে মিরাজ ১০ বলে ৫ রান করে আউট হলে। শামির বলে শুবমান গিলের হাতে ক্যাচ হন মিরাজ।
নবম ওভারে টানা দুই বলে দুই উইকেট শিকার করেন অক্ষর প্যাটেল। দ্বিতীয় বলে তানজিদ ও তৃতীয় বলে নতুন ব্যাটার মুশফিককে তুলে নেন তিনি। ২৫ বলে ২৫ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন তানজিদ। আর গোল্ডেন ডাক (১ বলে ০) মারেন মুশফিক। তিনিও বিহাইন্ড দ্য উইকেটে রাহুলের হাতে ধরা পড়েন।
এরপরই ষষ্ঠ উইকেটে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রেকর্ড গড়া জুটি করেন জাকের ও হৃদয়। এই পজিশনে ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার মার্ক বোচার ও জাস্টিন কেম্পের ১৩১ রানের রেকর্ড ভেঙে ১৫৪ রানের জুটি করেন তারা। দুজনই হাঁকান ফিফটি। ১১৪ বলে
৪৩তম ওভারে জাকের আউট হলে রেকর্ড গড়া জুটিটি ভাঙে। ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কোহলির হাতে ক্যাচ হন ডানহাতি টাইগার ব্যাটার। তার আগে ১১৪ বলে চার বাউন্ডারিতে ৬৮ রান করেন জাকের।
Advertisement
২টি ছক্কা হাঁকিয়ে রানের গতি বাড়িয়ে দেন রিশাদ হোসেন। ১২ বলে ১৮ রান করে হর্ষিতের বলে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ হন তিনি।
লোওয়ার অর্ডারদের অপরপ্রান্তে দাঁড় করিয়ে বীরের মতো লড়াই করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুুরি পূর্ণ করেন হৃদয়। ১১৪ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। এরপর আরও ৪ বল খেললেও কোনো রান যোগ না করেই শামির বলে আউট হন আহত হৃদয়। অর্থাৎ ১১৮ বলে ১০০ রান করেন তিনি।
ভারতের হয়ে ৫৩ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ শামি। হর্ষিত রানা ৩১ বলে ৩ ও অক্ষর প্যাটেল ৪৩ রানে ২ উইকেট শিকার করেন।
এমএইচ/জিকেএস