দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হামাস বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজার খান ইউনিসে বিবাস পরিবারের সদস্যসহ চার ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করবে। এর আগে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে জীবিত অবস্থায় জিম্মিদের ইসরায়েলের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
Advertisement
জানা গেছে, বিবাস পরিবারের এক মা এবং তার দুই সন্তানের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট শিশুটির বয়স ছিল মাত্র নয় মাস। হামাস জানিয়েছে, অপর যে জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করা হবে তার নাম ওডেড লিফশিটজ (৮৪)। তিনি একজন শান্তি কর্মী ছিলেন।
গত মাসে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরুর পর প্রথমবারের মতো জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর করতে যাচ্ছে হামাস। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, পুরো জাতির হৃদয় ভেঙে গেছে। তিনি আরও বলেছেন, তারা ‘দানবদের’ সঙ্গে বন্দি বিনিময় করছেন।
এদিকে শনিবার আরও ছয় জিম্মিকে জীবিত অবস্থায় মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর তিন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। মুক্তি পাওয়া বন্দিরা হলেন, আলেকজান্ডার ট্রুফানোভ, সাগুই ডেকেল-চেন এবং ইয়ার হর্ন।
Advertisement
উভয় পক্ষের যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেদিন আরও পরের দিকে ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। এছাড়া আরও দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: আরও তিন বন্দিকে মুক্তি দিলো হামাস আরও তিন বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস গাজা ইস্যুতে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ঠেকাতে উদ্যোগ নিচ্ছে সৌদি আরবগাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ২৯৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ১১ হাজার ৭৩৩ জন। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬১ হাজার ৭০৯ জন বলে জানিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার মানুষকে এখন নিহতের তালিকায় রাখা হয়েছে।
টিটিএন
Advertisement