গত ৫ আগস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাতের প্রকৃত চিত্র বের হতে থাকে। এতে আস্থার সংকট দেখা দেয়, আতঙ্কে টাকা তুলতে থাকেন গ্রাহকরা। এখন আবার ঘরের টাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে।
Advertisement
গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে ব্যাংকে সাড়ে ৩৪ হাজার কোটি টাকা আমানত বেড়েছে। ব্যাংক খাতে মোট আমানতের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩১৫ কোটি টাকায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ কমে এসেছে। এসব অর্থের বড় অংশই ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে। গত বছরের জুন শেষে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে থাকা টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকায়। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে মানুষের হাতে থাকা প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকে ফিরে গিয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর শেষে ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এরপর থেকে প্রতি মাসেই এর পরিমাণ বেড়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই শেষে ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে সেই টাকা ধীরে ধীরে ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে।
Advertisement
গত জুন শেষে ব্যাংকখাতে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে তা ৩৪ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা বা প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। ডিসেম্বর শেষে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার আমানত ছিল ব্যাংকগুলোর কাছে। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৭ লাখ ২ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ আমানতের প্রায় ৯৬ শতাংশই ঋণ হিসেবে বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো।
ইএআর/এমএইচআর