১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন বারবার ছাত্রদের নেতৃত্বেই ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তরুণ সমাজের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, তরুণরা অসীম বীরত্ব নিয়ে জীবন দিয়েছে, যা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তরুণরা সর্বোচ্চ লড়াই করেছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এবি পার্টির আয়োজনে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাহমুদুর রহমান।
পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত বুদ্ধিজীবী ড. সুকোমল বড়ুয়া। বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান বিএম নাজমুল হক, লে. কর্ণেল অব. হেলাল উদ্দিনসহ এবি পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান বলেন, হেজিমোনিক ও ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তিকে একসঙ্গে আমাদের তরুণরা পরাজিত করেছে। তরুণরা জীবন দিয়েছে বলেই আমি নির্বাসিত জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে আজ একুশে পদকপ্রাপ্ত হই। আমরা যে বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলাম তার থেকে তরুণরা অনেকগুণ ভালো বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
Advertisement
সভাপতির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এই হেজিমনি ও ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করতেই গণঅভ্যুত্থান হয়। ৫২ আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণা। একুশের চেতনায় হচ্ছে বন্দুকের সামনে দাঁড়ানো, একুশের শিক্ষা হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, অধিকারের জন্য বুক চিতিয়ে দেওয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ড. সুকোমল বড়ুয়া বলেন, কথা বলার দুয়ার খুলে দিয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান। ২৪র গণঅভ্যুত্থানে এত মানুষের ঢল মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আর কোনো আন্দোলনে দেখিনি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, এবিএম খালিদ হাসান ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এএএম/কেএএ/
Advertisement