সামনে চ্যালেঞ্জ আছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রস্তুত থাকতে বলেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।
Advertisement
তিনদিনের ডিসি সম্মেলন শেষে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা একটা মেসেজ দিয়েছি। সামনে চ্যালেঞ্জ আছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সেজন্য যাতে তারা প্রস্তুত থাকেন।
যে লক্ষ্য নিয়ে ডিসি সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল, সে লক্ষ্য কতটা পূরণ হয়েছে, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা এখানে সব ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে ডিসিদের মুখোমুখি করে দিতে পেরেছি। আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তাদের সমস্যাটা, তাদের চ্যালেঞ্জটা, তাদের প্রত্যাশা... সেটা যেমন কেন্দ্রীয় সরকারের বিভাগগুলো দেখেছে, তেমনি কেন্দ্রীয় সরকারের যেসব অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়গুলো আছে, তাদের যে প্রত্যাশা সেটাও জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের দেওয়া হয়েছে। এই যে মিলমিশ, এটাই আমাদের টার্গেট ছিল।
Advertisement
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই টার্গেটের যে রেজাল্ট হলো, সেটা তো অংক দিয়ে বলা যাবে না। আশা করি রেজাল্ট আমরা পাবো। তাদের কাজকর্ম আরও সুসংহত হবে। তারা আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, মাঠ প্রশাসন একটা নাজুক অবস্থা থেকে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। সব স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। সেটাকে আমরা অ্যাপ্রিসিয়েট করেছি, রিকগনাইজ করেছি।
আমরা আশা করি তারা (ডিসি) আরও উজ্জীবিত হয়ে চলে যাবেন, বলেন শেখ আব্দুর রশীদ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, ডিসিদের অনেক প্রস্তাব ছিল। ডিসি, বিভাগীয় কমিশনারদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন ছিল মাঠকেন্দ্রিক যেসব সমস্যায় তারা মুখোমুখি হন। তাৎক্ষণিক কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছি। কিছু বিষয় সচিব কমিটিতে যাবে। তারা জনবল ও গাড়ি সংক্রান্ত সমস্যার কথা বলেছেন। মাঠ ও নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে যাতে সমন্বয় থাকে, দূরত্ব কম থাকে।
Advertisement
তিনি বলেন, ডিসিরা রিটার্নিং অফিসার। নির্বাচন কমিশন তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। এই ট্রেনিংয়ের যোগানদাতা হলো জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এবার প্রত্যাশা করা হয়েছে তাদের গড়ে তোলার জন্য ট্রেনিংগুলা যাতে আরও বেশি কার্যকর, আমরা যেটাকে বলি দক্ষ ও সাহসী, যে নির্দেশনা দেওয়া হবে, কাজে এবং কথায় যাতে দ্বিমত না থাকে। ঠিক এভাবে তাদের প্রস্তুত করা হচ্ছে, প্রস্তুত করা হবে।
নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে যখন হবে আমরা যেটাকে বলি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার, আমার ভোট আমি দেবো, এ ধরনের যাতে একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে সেভাবে তাদের প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সিনিয়র সচিব আরও বলেন, আমরা এক কথায় বলতে পারি তারা (ডিসি) মোটিভেটেড। ডিসি হিসেবে তাদের কিছু কাজ রয়েছে। সে কাজগুলো তারা স্ব-উদ্যোগে আগের চেয়ে আরও উৎসাহের সঙ্গে জনস্বার্থে জনগণকে নিয়ে করবেন। জনপ্রশাসন সম্পর্কে তাদের যে আজকে এক্সপ্রেশন, আমাদের যে তাদের নিয়ে আসা, এটাতে একটা মেলবন্ধন হয়েছে। দাবি উঠে পূরণ হয়নি, এখানে এমন কিছু হয়নি।
ডিসি নিয়োগের লিস্ট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। উপসচিব থেকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মোখলেস উর রহমান
আরএমএম/এমএইচআর