খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে কুয়েট ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে উত্তেজনা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’- এমন স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলো প্রদক্ষিণ করেন।
পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এলে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে, যা কুয়েটের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। কুয়েটের পকেট গেট থেকে বহিরাগতরা একটি গ্রুপের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হন কয়েকজন।
Advertisement
কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরবর্তীতে পুলিশ সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনী এলে গেট বন্ধ করে দেন ছাত্ররা। এসময় আশপাশের এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনী।
আহত শিক্ষার্থী ২২ ব্যাচের নিলয়কে খুলনা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া মো. মারুফ মিয়া বলেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় একদল যুবক নিলয়ের ওপর হামলা করে। তবে কে বা কারা হামলা করেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
স্থানীয় দোকানদার সোহেল মোল্লা বলেন, দুপুরে ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। অনেকের হাতে বাঁশ, রামদা, লাঠি রড দেখা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনী গিয়ে আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সমরেশ মজুমদার জানান, কুয়েট এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সব দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনার মুখ্য সংগঠক আজিম ইসলাম জিম বলেন, কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, কুয়েটে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।
মো. আরিফুর রহমান/জেডএইচ/এমএস