মীরা নায়ার ও অ্যাং লি’র মতো নামী নির্মাতাদের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন অপুর্ব লক্ষী। আমির খান অভিনীত ‘লগন’ ছবির সঙ্গেও তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। সম্প্রতি ‘লগন’ ছবির শুটিংয়ের দীর্ঘ প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ঐতিহাসিক সিনেমাটি ভারতীয় সিনেমার এক মাইলফলক হিসেবে পরিচিত।
Advertisement
শুরুতে ছবিটির শুটিং ৮০ দিনের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু একাধিক অপ্রত্যাশিত কারণে এটি প্রায় এক বছর দীর্ঘ হয়। গুজরাটের কচ্ছ অঞ্চলের শীতের তীব্রতায় শুটিং হয়েছিল। সেইসঙ্গে ৫৬ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও ছবির শুটিং চলেছে। কঠিন আবহাওয়ায় অস্থির ছিলেন ছবির শিল্পী ও কুশলীরা। তবু সিনেমাকে ভালোবেসে সবাই কাজ করে গেছেন।
অপুর্ব লক্ষী জানান, ছবির ‘ওরে ছোরি’ গানটির শুটিং খুবই কষ্টকর ছিল। সেসময় তীব্র গরম চলছি। সেই গরম এড়াতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শুটিং করতে হতো। আবার শীতের সময় তীব্র ঠান্ডা এড়াতে হয়েছে। এজন্য ৮০ দিনের শুটিং পরিকল্পনা ৩০০ দিনে গিয়ে ঠেকেছিল।
এছাড়াও পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকর শুটিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে যান বৈরি আবহাওয়ায়। তিনি পেছনের দিকে গলা বেঁধে হাসপাতালে শুয়ে শুটিং পরিচালনা করতে বাধ্য হন। লক্ষী বলেন, ‘আমি মাইক দিয়ে গোয়ারিকরের নির্দেশনা পৌঁছে দিতাম শুটিং সেটে যাতে কাজ চলতে থাকে।’
Advertisement
আরও কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ছিল যা বেদনাদায়ক। যেমন একটি প্রাণী মারা যাওয়ার পর শুটিং কিছু সময়ের জন্য থামিয়ে দেয়া হয়েছিল। আর্থিক সমস্যাও ছিল। সে সময় আমির খান প্রকল্পটি চলমান রাখতে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহ করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
অপুর্ব লক্ষী আরও জানান, ‘লগন’ ছবিটি তার উপর অনেক প্রভাব ফেলেছিল। তার ভাষ্য, ‘সিনেমাটি আমাকে এতটাই শুষে নিয়েছিল যে আমি দুই বছর সিনেমা থেকে দূরে ছিলাম। তবে এটাও সত্যি এই সিনেমাটি আমার ক্যারিয়ারে খ্যাতি এনে দিয়েছে। ছবিটি আমার জন্য আর্থিকভাবেও লাভজনক ছিল।’
‘আমি যুক্তরাষ্ট্রে একজন সহকারী পরিচালক হিসেবে সপ্তাহে ৩ হাজার ডলার পেতাম। কিন্তু ‘লগন’ ছবিতে প্রতিদিন ৭-১০ হাজার রুপি পর্যন্ত উপার্জন করেছি। আসলে ছবির চিত্রগ্রাক আমি অণিল মেহতার থেকেও বেশি উপার্জন করেছি ছবিটিতে’- যোগ করেন অপুর্ব লক্ষী।
এলআইএ/জেআইএম
Advertisement