ভ্রমণ

ফাল্গুনের রাজধানীতে এক ঢিলে বহু পাখি

শুরু হয়েছে ফাল্গুন মাস। ঋতুরাজ বসন্তকে কেন্দ্র করে তাই ঘুরে আসুন রাজধানীর ভেতরেই। ঢাকায় যারা বসবাস করছেন; তারা এসব জায়গায় ঘুরতে যেতে পারেন অনায়াসেই। আসুন জেনে নিই স্থানগুলো সম্পর্কে—

Advertisement

এক ঢিলে বহু পাখি মারতে প্রথমেই বেছে নিতে পারেন রমনা পার্ক। আশপাশের কোনো দোকানে বসে খেতে পারেন পছন্দমতো। সেখান থেকে চলে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র টিএসসিতে। রমনা পার্ক থেকে খুব বেশি দূরে নয়। টিএসসি থেকে বাংলা একাডেমি। এখানে পাবেন অমর একুশে বইমেলা। পাবেন বিভিন্ন রকমের বই। দেখা পাবেন লেখক, কবি ও সংস্কৃতিকর্মীদের।

এর ঠিক পাশেই ঢাবির চারুকলা অনুষদ। চিত্রকলায় আগ্রহ থাকলে একটু ঢু মারতেই পারেন। গা ঘেষেই আছে জাতীয় কবির কবর এবং জাতীয় জাদুঘর। ইতিহাস-ঐতিহ্যের সন্ধানও করতে পারেন ইচ্ছে হলেই।

পাশেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা যুদ্ধের অনেক নিদর্শন দেখতে পাবেন। উদ্যানে বসে কাটাতে পারেন কিছু সময়। পাশেই দেখবেন জাতীয় চার নেতার মাজার। বলে রাখা ভালো, উদ্যানেও চলছে অমর একুশে বইমেলা। ঘুরে ঘুরে দেখতে পারেন।

Advertisement

আরও পড়ুন বাড়বকুণ্ড সমুদ্রসৈকতে চড়ুইভাতি কুয়াকাটা ভ্রমণে যা যা দেখবেন

কাছাকাছি স্পটের মধ্যে আরও আছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে একটু এগোলেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এখানে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বিকেল থেকে সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, নাটক, প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বসে বসে তা উপভোগ করতে পারেন।

মন চাইলে যেতে পারেন পুরান ঢাকায়। ঠাটারি বাজার, নাজিরা বাজার, চকবাজার, বঙ্গবাজারের দিকেও যেতে পারেন। এখানে যাবতীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। দেখতে পারবেন ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনা। যেমন- আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা প্রভৃতি।

পাশেই বিখ্যাত সদরঘাট। বাংলাদেশের অন্যতম নদী বন্দর। এখান থেকে বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন ছেড়ে যায় লঞ্চ। বিকেলে নৌকায় ঘুরতে পারেন বুড়িগঙ্গা নদীতে।

অথবা বিকেলে যেতে পারেন ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে। পাবেন বাহারি খাবার। আর হাতের কাছেই হাতিরঝিল। যাদের খুব বেশি সুযোগ হয় না দূরে যাওয়ার। তাদের জন্য হাতিরঝিল হতে পারে উত্তম স্থান। তাহলে দেরি না করে এখনই বেরিয়ে পড়ুন।

Advertisement

এসইউ/এএসএম