সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও বেড়েছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। মূলত বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ার কারণে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে।
Advertisement
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকলেও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে শেষ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৮ কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিললো।
এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সূচকের পতন হয়। পরের দুই কার্যদিবস সোমবার ও মঙ্গলবার আবার সূচক বাড়ে। দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বুধবার আবার সূচকের পতন হয়।
এমন পরিস্থিতিতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
Advertisement
তবে লেনদেনের শেষদিকে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। অবশ্য এরমধ্যেও দাম বাড়ার প্রবণতা ধরে রাখে বেশিরভাগ ব্যাংক। ফলে দাম কমার তালিকা বড় হলেও সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৫৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৩টির। এছাড়া ৭১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে ১৫টি ব্যাংকের শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ৭টি ব্যাংকের শেয়ার দাম কমেছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯১৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪০১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
Advertisement
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে রবি’র শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৫২ টাকার। এছাড়া ১০ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক।
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লাভেলো আইসক্রিম, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এমজেএল বাংলাদেশ, ব্র্যাক ব্যাংক, ওরিয়ন ইনফিউশন, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ এবং সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৭টির এবং ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
এমএএস/এমএএইচ/