একটা সময় মনে হচ্ছিলো আহমেদাবাদে ভারতের রান আজ ৪০০ পার হবে। তা না হলেও অন্তত ৪০০’র কাছাকাছি যাবেই। ৩৫ ওভারে তখন রান ছিল ২ উইকেটে ২২৬। কিন্তু শেষ দিকে এসে আদিল রশিদ, মার্কউড এবং সাকিব মাহমুদদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ভারতকে আটকে দিলো ৩৫৬ রানে।
Advertisement
আহমেদাবাদে টস হেরে ব্যাট করার আমন্ত্রণ পায় ভারত। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে রোহিত শর্মার উইকেট হারালেও দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন ওপেনার শুভমান গিল। রানে ফিরলেন বিরাট কোহলি এবং স্রেয়াশ আয়ার। এই তিনজনের দায়িত্বশীল তিনটি ইনিংস ভারতকে রান পাহাড়ে তুলে দেয়।
এক বছরেরও বেশি সময় পর ওয়ানডে এবং টেস্ট- এই দুই ফরম্যাট মিরিয়ে ফিফটির দেখা পেলেন বিরাট কোহলি। টানা ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে যখন কেউ কেউ এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে দল থেকে বাদ দেওয়ারও আওয়াজ তুলছেন, তখন বলা যায় ক্যারিয়ার বাঁচানো হাফ সেঞ্চুরি করলেন কোহলি।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন রোহিত শর্মা। তার ১১৯ রানের ইনিংসে ভর করে ইংল্যান্ডের ৩০৪ রানের বড় স্কোরকেও ৩৩ বল বাকি থাকতে টপকে গিয়েছিলো ভারত। এবার সেঞ্চুরি করলেন শুভমান গিল। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭ম সেঞ্চুরি করলেন ভারতীয় এই ওপেনার। ১০২ বল খেলে ১৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ১১২ রান করেন গিল।
Advertisement
বিরাট কোহলি আউট হন ৫৫ বলে ৫২ রান করে। তবে শুভমান গিলের সঙ্গে ১১৬ রানের বিশাল জুটি গড়ে তোলেন তিনি। ২২৬ রানের মাথায় আউট হন শুভমান গিল। স্রেয়াশ আয়ার এবং গিল মিলে ১০৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ৬৪ বলে ৭৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন স্রেয়াশ আয়ার। ২৯ বলে ৪০ রান করেন লোকেশ রাহুল।
শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারানোয় ইনিংসের একেবারে শেষ বলে এসে ৩৫৬ রানে অলআউট হয় ভারত। ইংল্যান্ডের হয়ে আদিল রশিদ নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন মার্ক উড। ১টি করে উইকেট নেন সাকিব মাহমুদ, গাস অ্যাটকিনসন ও জো রুট।
প্রসঙ্গত: তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ভারত জিতেছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে। দ্বিতীয় ৩০০ প্লাস স্কোর করেও জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। ভারত জিতেছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে।
আইএইচএস/
Advertisement