খেলাধুলা

দলের সঙ্গে যাচ্ছেন বাড়তি দুই পেসার, বিকল্প চিন্তা থেকেই কি?

তিনি যাচ্ছেন এবং তাকে নেটে ব্যাটারদের প্র্যাকটিসে বিশেষ সহয়তা করার জন্য নেওয়া হচ্ছে। এমন আভাস মিলেছিল আগেই। হাসান মাহমুদের দুবাই যাত্রার খবর আগেই চাউর হয়ে গিয়েছিল।

Advertisement

তবে হাসান মাহমুদ একা নন। নেটে টাইগার ব্যাটারদের কোয়ালিটি বোলিং মোকাবিলার চিন্তায় দুজন পেস বোলার নিয়ে যাওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছিল। এবং শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্য হতে যাচ্ছে। ১৫ জনের মূল দলের সঙ্গে যাচ্ছেন দুই পেসার হাসান মাহমুদ আর খালেদ আহমেদ। আজ (বুধবার) দুপুরে এ খবর নিশ্চিত করে বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘হাসান মাহমুদ আর খালেদ কিন্তু স্কোয়াডের সদস্য নন। শুধুই নেটে ব্যাটারদের বোলিং করার জন্যই যাচ্ছেন।’ শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে জায়গা না পেলেও অনেকেরই মত, হাসান মাহমুদকে নির্বাচকরা মূল স্কোয়াডে রাখতে পারতেন। তাকে বিবেচনায় আনা যেতো। পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে মাথা ঠান্ডা রেখে লাইন ও লেন্থ যতটা সম্ভব ঠিক রেখে বুদ্ধি খাটিয়ে বোলিং করেছেন হাসান।

খুলনা টাইগার্সের পক্ষে বিপিএলের বেশ কয়েকটি ম্যাচে ‘ডেথ ওভারে’ দেশি ও বিদেশি ব্যাটারদের কাছ থেকেও দারুণ সমীহ আদায়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন হাসান মাহমুদ।

খালেদও ভালো বোলিং করেছেন। দুই পাকিস্তানি ফাহিম আশরাফ ও আকিফ জাভেদের সঙ্গে সমান ২০ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে উইকেট শিকারে দ্বিতীয় স্থান দখল করেন খালেদ। বোঝাই যায়, তাই তাদের দুজনকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নেটে বোলার হিসেবে পেতে আগ্রহী নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট।

Advertisement

এছাড়া আরেকটি বিকল্প ভাবনাও মাথায় থাকতে পারে টিম ম্যানেজমেন্টের। কোনো টুর্নামেন্ট চলাকালে পেসারদের ইনজুরিতে পড়ার ঘটনা অহরহই দেখা যায়।

দলে থাকা নাহিদ রানা, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান কিংবা হালের তানজিম হাসান সাকিবও বিপিএলে নিয়মিত ম্যাচ খেলেছেন। বাড়তি চাপের কারণে তাদের কেউ চোটে পড়তে পারেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফতে। সম্ভবত সেই চিন্তা মাথায় রেখেই বাড়তি পেসার নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলোর মধ্যে বিরতি কম। হুট করে কোনো পেসার চোটে পড়লে দেশ থেকে কাউকে উড়িয়ে না নিয়ে, দলের সঙ্গে থাকা পেসার দিয়েই যাতে বিপদ কাটানো যায়, সেই দিকটাও হয়তো মাথায় রেখেছে ম্যানেজমেন্ট।

এআরবি/এমএমআর/জিকেএস

Advertisement