অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত বলেছেন, বাজেটে যেমন ব্যবসায়ীর কথা যেমন ভাবতে হয়, তেমনি দরিদ্র চাষীর কথাও ভাবতে হয়। আমি উচ্চাভিলাষী বাজেট দিতে পছন্দ করি। সেই বাজেটের সুফল আমরা পাচ্ছি।শুক্রবার রাতে রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) বাজেট নিয়ে ‘কেমন বাজেট চাই’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। টানা নবমবারের মতো এনটিভি এবং দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।অর্থমন্ত্রী বলেন, দশম বাজেট দিচ্ছি, এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। আমার অপূর্ণ ইচ্ছা থাকে যা ধরাছোঁয়ার মধ্যে আসে না, সেটা করার চেষ্টা করি।তিনি আরো বলেন, সুদের হার আমি নির্ধারণ করি না। তবে আমরা অন্যভাবে সাহায্য করতে পারি। আমার বিশ্বাস আপাতত এটা এখানেই থাকবে। তবে এটা কমবে। আগামী দুই বছর আমাদের বিনিয়োগের জন্য সুবর্ণ সময়। সেটা কাজে লাগাতে হবে।অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে খবুই যত্নবান। আমরা বাস্তববাদী, সেই আলোকেই বাজেট হবে। এবারের বাজেটে সবাই খুশি হবে বলে আমার বিশ্বাস।বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রানা প্লাজার পর যে মন্দা ছিল, সেটি কাটছে। শুধু প্রবৃদ্ধি বাড়ালে হবে না। কর্মসংস্থানও বাড়াতে হবে।অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বেসরকারি খাতে বিনিযোগে গত কয়েক বছর ধরে মন্দা এসেছে। বাজেটের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বেসরকারি বিনিযোগ আকৃষ্ট করা।অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতা সালাম মুর্শেদী বলেন, তেলের বাজার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে।আরেক ব্যবসায়ী নেতা নিজাম উদ্দিন টিটো বলেন, টেলিকম সেক্টরে আমরা ২২ বছর আমদানি নির্ভর ছিলাম। এখন এখানে মোবাইল উৎপাদন হবে। এক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ট্যাক্স হলি ডে চাই।এসআই/জেএইচ
Advertisement