জুমার দিন জুমার ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পর শরিয়তসম্মত ওজর ছাড়া সফরে বের হওয়া মাকরুহে তাহরিমি যদি পথে জুমার নামাজ পড়ার সুযোগ না পাওয়ার আশংকা থাকে। যেমন জুমার ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পর জুমা না পড়ে এমন লঞ্চ বা ট্রেনে উঠে পড়া মাকরুহ হবে যা গন্তব্যে পৌঁছবে জুমার ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাওয়ার পর এবং পথে জুমা পড়ার সুযোগও পাওয়া যাবে না।
Advertisement
জুমার দিন জুমার সময় হওয়ার আগে এবং জুমার পরে সফরে হওয়া মাকরুহ নয়। পথে জুমার নামাজ পড়ার সুযোগ থাকলে জুমার ওয়াক্ত হওয়ার পরও সফরে বের হওয়া মাকরুহ নয়।
প্রতিদিনের জোহরের ওয়াক্তই জুমার দিন জুমার ওয়াক্ত হিসেবে গণ্য হয়। জুমার দিন দুপুরে সূর্য মাথার ওপর থেকে পশ্চিম আকাশে একটু হেলে পড়লে জুমার ওয়াক্ত শুরু হয়। জুমার ওয়াক্ত শেষ হওয়ার ব্যাপারে একাধিক মত পাওয়া যায়। ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মাজহাব হলো, সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়লে কোনো বস্তুর নিজস্ব ছায়ার দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত জুমার নামাজ পড়ার সময় বাকি থাকে।
মুসাফিরের ওপর জুমার দিন জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব নয়। মুসাফির সম্ভব হলে জুমা আদায় করবে, কিন্তু জুমা আদায়ের সুযোগ না পেলে জুমা ছেড়েও দিতে পারে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন,
Advertisement
من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فعليه الجمعة إلا مريضاً أو مسافراً أو امرأة أو صبياً أو مملوكاً
আল্লাহ ও পরকালের ওপর যাদের ইমান আছে, তাদের ওপর জুমা ওয়াজিব। তবে অসুস্থ, মুসাফির, নারী, শিশু ও ক্রিতদাসদের ওপর জুমা ওয়াজিব নয়। (বায়হাকি, দারাকুতনি)
মুসাফির অবস্থায় জুমা ছুটে গেলে মুসাফির ব্যক্তি একা জোহর পড়ে নেবে। কয়েকজন মুসাফিরের জুমা ছুটে গেলেও কোনো শহরে অবস্থান করা অবস্থায় জোহরের জামাত করবে না। কারণ যে এলাকায় জুমা হয়, সেখানে জোহরের জামাত করা মাকরুহে তাহরিমি। তাই মুসাফিরদের কোনো দল জুমা আদায় করতে অক্ষম হলে তারা ওই দিনের জোহর প্রত্যেকে আলাদাভাবে আদায় করবে।
ওএফএফ/জিকেএস
Advertisement