প্রবাস

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে শীর্ষে বাংলাদেশ

মালয়েশিয়ায় কর্মরত বিদেশি কর্মীদের মধ্যে বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন প্রায় ৮ লাখ ৯৯ হাজার। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশে অধিক শ্রম, কর্মদক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দেওয়ান রাকায়াত (সংসদে) প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম।

দেশটির জাতীয় দৈনিক মালয় মেইল বলছে, সংসদে স্টিভেন সিম বলেন, বর্তমানে ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭০ জন বাংলাদেশি কর্মী বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মরত, সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির কর্মী সংখ্যা ৫ লাখ ৮২ হাজার ১০৮ জন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের ৩ লাখ ৭০ হাজার ১২৭ জন কর্মী রয়েছেন মালয়েশিয়ায়।

সংসদে সংসদ সদস্য জামাল উদ্দিন ইয়াহিয়ার প্রশ্নের জবাবে মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় মোট অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪২২ জন, যা দেশটির মোট কর্মীর ১৪ শতাংশ।

Advertisement

আরও পড়ুনউড়োজাহাজের টিকিটের চড়া দাম, মালয়েশিয়া প্রবাসীদের ক্ষোভউড়োজাহাজ টিকিটের সিন্ডিকেট ধরতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন: রাশেদ

তিনি বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শ্রমবাজার। সরকারের নীতিতে নির্ধারিত বিদেশি কর্মীর সংখ্যা ১৫ শতাংশ অতিক্রম করেনি। ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ থেকে অভিবাসী কর্মী নিয়ন্ত্রণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তা এখনো চলমান রয়েছে।

মানবসম্পদ মন্ত্রী জানান, শ্রম আইন ভঙ্গের অভিযোগে নিয়োগ কর্তাদের বিরুদ্ধে ৬৮৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৫২টি আদালতে তোলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রম আইন মেনে চলছে কি না- এ নিয়ে শ্রম বিভাগ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ফলে আইন লঙ্ঘনের সুযোগ কারোরই নেই।

মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন পর্যবেক্ষণে মালয়েশিয়া জুড়ে শুধু ২০২৪ সালে ২১ হাজার ৫৭৩টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। যার মধ্যে ৩ হাজার ৭৮৮টি আমলে নিয়ে নিয়োগকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ৯ হাজার ৯৯১টি অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং ৯ হাজার ৭২৬টি অভিযোগ সমাধান করা হয়েছে।

মানবপাচার, জোর করে কর্মীদের কাজ করানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে শ্রম বিভাগ কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় সব সময় তৎপর রয়েছে।

Advertisement

কেএসআর/জেআইএম