সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন কোর্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী ‘জুডিসিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সেস’ গঠনের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। নোটিশে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, রাষ্ট্রের মৌলিক স্তম্ভ তিনটি যথা, আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। রাষ্ট্রের শাসন বিভাগের মৌলিক নিরাপত্তা বাহিনী হলো পুলিশ। এ পুলিশ রাষ্ট্রের শাসন বিভাগের অংশ হলেও, শাসন বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ওপর আস্থাশীল নয়। ফলশ্রুতিতে শাসন বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা তাদের নিরাপত্তার জন্য ‘স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সেস’ (এসএসএফ) গঠন করেছে।
আমাদের বিচার বিভাগের নিরাপত্তা মূলত পুলিশের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু পুলিশ আমাদের বিচারবিভাগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে কিছু দুষ্কৃতকারী প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও জাজেস কমপ্লেক্সের প্রবেশদ্বারে হামলা চালায়। এছাড়া জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর সময় বহুদিন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতগুলো পুরোপুরি অরক্ষিত ছিল। এ সময়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবন লুট করা হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন এবং জীবনের ঝুঁকির আশঙ্কায় ছিলেন। ওই সময়ে দেশের নিম্ন আদালতও পুরোপুরি অরক্ষিত ছিল এবং নিম্ন আদালতের বিজ্ঞ জজ ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন।
নোটিশে বলা হয়, দেশের শাসন বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা তাদের নিরাপত্তার জন্য এসএসএফ গঠন করেছে, সেজন্য সরকারের কাছে বিচার বিভাগের বৈধ প্রত্যাশা রয়েছে যে, সরকার বিচার বিভাগের সুরক্ষার জন্য এসএসএফ গঠন করবেন।
এসএসএফকে অবশ্যই প্রধান বিচারপতির অধীনে থাকতে হবে। এই এসএসএফ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন কোর্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বাসভবন ও অধস্তন আদালতগুলোর জজ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের বাসভবনের নিরাপত্তা বিধান করবে।
আইনি নোটিশ পাওয়ার ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন কোর্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী ‘এসএসএফ’ গঠনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।
Advertisement
এফএইচ/এমএএইচ/জিকেএস