আন্তর্জাতিক

শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প

২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিয়াভিট ফক্স নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

Advertisement

ট্রাম্প চীনের ওপর যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন তা মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা। এর জবাবে চীন জানিয়েছে যে, তারা এর বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করবে।

এর আগে কানাডা থেকে আসা পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ এবং দেশটির জ্বালানি পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। একই সময়ে মেক্সিকো থেকে আসা পণ্যে ২৫ শতাংশ এবং চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

তবে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে চীনের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা বহাল থাকছে।

Advertisement

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প মেক্সিকোকে শর্ত দিয়েছেন, তাদের সীমান্তে তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে যেন অবৈধ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারে। সেই শর্ত অনুযায়ী সীমান্তে ন্যাশনাল গার্ডের ১০ হাজার সেনাকে তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েন করবে মেক্সিকো। এ শর্তে তাদের ওপর আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ট্রাম্প।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা সীমান্তে নতুন প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করবেন। পাশাপাশি ফেন্টানাইল (মাদক) চোরাচালান ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমেরিকাকে সহায়তা করবে। স্থানীয় সময় সোমবার এক ফোনালাপে ট্রুডো মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

শুল্ক আরোপ স্থগিতের পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, প্রেসিডেন্ট হিসাবে সব মার্কিন নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব ও আমি ঠিক সেটাই করছি। প্রাথমিক ফলাফলে আমি খুবই সন্তুষ্ট।

আরও পড়ুন: তিন দেশে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ, এশিয়ার শেয়ারবাজারে বড় ধাক্কা তিন দেশের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ, বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু?

অপরদিকে শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অনুরূপ পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে চীন। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পদক্ষেপে চীন ভীষণ অসন্তুষ্ট। এটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়মনীতির গুরুতর লঙ্ঘন।

Advertisement

টিটিএন