বিনোদন

বিয়ে করতে চান না জাহিদ হাসান

ছোট পর্দার বড় সুপারস্টার তিনি। তিনযুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের মুগ্ধতায় মাতিয়ে রেখেছেন দর্শককে। বহু চরিত্রে তিনি সাবলীল উপস্থাপনায় নিজেকে করেছেন সমৃদ্ধ, চরিত্রগুলোকে করেছেন কালজয়ী। আজও সেইসব চরিত্রেরা দর্শককে বিনোদিত করে। নিয়ে যায় ফেলে আসা সোনালী অতীতের কাছে।

Advertisement

বলছি নন্দিত অভিনেতা জাহিদ হাসানের কথা। দীর্ঘ বিরতির পর তিনি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন। এ নাটকের নাম ‘ভাল্লাগেনা’। বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত হচ্ছে নাটকটি প্রতি সপ্তাহে তিন দিন- শনি, রবি ও সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে।

হানিফ খানের পরিচালনায় নাটকটি রচনা করেছেন জাকির হোসেন উজ্জল। জাহিদ হাসান ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন স্বর্ণলতা দেবনাথ, ডা. এজাজ, সাদিয়া তানভীন, সৈয়দা নওশিন দিশাতন্ময় সোহেল, আমিন আজাদ, তারিক স্বপন, তাবাসসুম মিথিলা, কামরুন্নাহার রুমা, শেখ চাঁদনী, মোমিন বাবু প্রমুখ।

নাটকে জাহিদ হাসানের চরিত্রের নাম পুলক। নাটকের শুরুতে দেখা যাবে- বরযাত্রী নিয়ে বিয়ের জন্য রওয়ানা দিচ্ছেন তিনি। পুলকের বিয়ে নিয়ে সবাই খুব এক্সাইটেড। একজন আরেকজনকে তাড়া দিচ্ছে। ব্যান্ডপার্টির সাথে নাচানাচি করছে মহল্লার যুবকরা। এমন সময় একজন ছুটে এসে জানায়- এই বিয়ে হবে না। বিয়ের পাত্রী নাকি পালিয়ে গেছে। বিয়ে বাড়ির সব মানুষ যেন আকাশ থেকে পড়ে। এ নিয়ে সাতবার বিয়ে ভাঙলো পুলকের। এবার কি হবে? এভাবেই মজার গল্পে এগিয়ে চলে ‘ভাল্লাগেনা’ নাটক।

Advertisement

এ নাটকের গল্প নিয়ে জাহিদ হাসান বলেন, ‘বিয়ে একটি সামাজিক চুক্তি। যা দ্বারা একটি পরিবারের সৃষ্টি হয়। সেখানে তৈরি হয় প্রেম, ভালোবাসা, মায়া-মমতা ও স্নেহভরা সুখের সংসার। তবে একই ছাদের নিচে থাকতে গেলে অনেক সময়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়, হয় ঝগড়া-বিবাদও। কখনো সখনো সেই বিবাদ গিয়ে পৌঁছায় চূড়ান্ত বিচ্ছেদে। হতাশা নেমে আসে জীবনে। এসব থেকেই কারো কারো বিয়ের প্রতি ভয় এবং অনীহা চলে আসে। আমার চরিত্রটিও এমন। সে বিয়ে করতে চায় না। বিয়ে ভেঙে গেলে সবাই যখন কষ্ট পায় সে তখন খুব খুশি হয়। বিনোদন আছে, রোমান্স আছে, সামাজিক বার্তাও আছে এ নাটকে।’

এদিকে জাহিদ হাসান অভিনীত ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। আসছে ঈদ উপলক্ষেও বেশ কিছু নাটকে দেখা যাবে এই তারকাকে।

এলআইএ/জেআইএম

Advertisement