বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের পুনর্বহালের আবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
Advertisement
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করছেন। চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের ১ হাজার ৫২২টি আবেদন ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
আবেদনকারীদের মধ্যে কনস্টেবল ১০২৫ জন, নায়েক ৭৯ জন, এএসআই/এটিএসআই ১৮০ জন, এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই ২০০ জন, ইন্সপেক্টর ১০ জন এবং নন-পুলিশ সদস্য ২৮ জন।
Advertisement
এআইজি ইনামুল হক সাগর আরও জানান, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত আবেদনগুলো পর্যালোচনার লক্ষ্যে ডিআইজির নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কাজ করছে। কমিটি তাদের আবেদনগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করছে। এক্ষেত্রে তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তাদের মধ্যে অনেকেই ফৌজদারি/ আর্থিক/ নৈতিক স্খলন/ আচরণগত/ বিভাগীয় শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধেও চাকরিচ্যুত হয়েছেন। আবার কারো কারো আবেদন প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল/ প্রশাসনিক অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালেও বিচারাধীন রয়েছে।
এআইজি ইনামুল বলেন, চাকুরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা যাতে ন্যায়বিচার পান সেজন্য পুলিশ সদর দপ্তর আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
ইতোমধ্যে গত ২৯ জানুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা মানববন্ধন করার সময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল তাদের কাছে গিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। তারা বিস্তারিত বলার পরও চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা রাস্তা অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করেছেন।
Advertisement
চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদেরকে রাস্তা অবরোধ করে নগরবাসীর জন্য বিড়ম্বনা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।
টিটি/এএমএ/এএসএম