আরও ছয় মাসের জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জান্তার এই নির্দেশ দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
Advertisement
মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যম এমআরটিভি এক টেলিগ্রাম বার্তায় বলেছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। বিশেষ করে, শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
২০২১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের পর দেশটির ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তা। বর্তমানে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে সামরিক সরকার।
তবে সামরিক সরকার এখনো নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি। এর মধ্যেই তারা ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যদিও দেশব্যাপী তারা সশস্ত্র বিদ্রোহের সম্মুখীন। অন্যদিকে, সমালোচকরা এই নির্বাচনকে জেনারেলদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করছেন।
Advertisement
জান্তা সরকারের বিরোধীরা এই নির্বাচনকে ভন্ডামি বলে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, যে এটি জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত হবে। তারা সামরিক শাসনের বিরোধিতাকারীরা নির্বাচন আটকানোর পরিকল্পনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এর ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া বলছে, সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নের ফলে একটি যুব-নেতৃত্বাধীন গণবিক্ষোভ সশস্ত্র প্রতিরোধে রূপ নিয়েছে, যা বর্তমানে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে গৃহযুদ্ধের আকার নিয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘাতে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে ও দেশটি চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছে। বর্তমানে দেশটির মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ এখন মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
সূত্র: নিক্কেই এশিয়া
এসএএইচ
Advertisement