তিনি জাতীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের টপ স্কোরার। আজ রংপুর রাইডার্সের সাথে দুর্দান্ত শতক (৬২ বলে ১১১) করে বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও। তার সামনে আছে এবারের আসরে টপ স্কোরার হওয়ার হাতছানি। শুধু নিয়মিত রান করাই নয়, ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলাও শুরু করেছেন নাইম শেখ। তার স্ট্রাইকরেটও আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উন্নত হয়েছে।
Advertisement
এই ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার রহস্যটা কী? প্রশ্ন উঠলো প্রেস বক্সে। স্বল্পভাষী নাইম শেখের ছোট্ট জবাব, ‘সর্বশেষ যতগুলো টুর্নামেন্ট খেলেছি, নিজের শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছি। মাঠে সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। ভালো খেলার রহস্যের কারণ বিশদভাবে বলতে গেলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে। শুধু এক কথায় বললে, অফ-সিজনে কঠোর পরিশ্রম করেছি।’
এনসিএল টি-টোয়েন্টির পর বিপিএলেও ভালো খেলতে পারার পেছনে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের খুবই কার্যকর ভূমিকা আছে বলে মনে করেন নাইম শেখ।
নাইম বলেন, ‘আমার জন্য এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বেশ কাজে দিয়েছে। ব্যাক-টু-ব্যাক ফোর-ডে ম্যাচ খেলার কারণে শারীরিকভাবে কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। এরপর ১৪-১৫ দিনে ১২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি, অল্প বিরতির পরই বিপিএল শুরু হয়েছে। একটু লম্বা বিরতি হলে ভালো হতো। তারপরও আমি চাই এনসিএল নিয়মিত হোক। কারণ, বিপিএল ছাড়া আমাদের আর কোনো টি-টোয়েন্টি প্ল্যাটফর্ম নেই। তাই চাইব, এটি যেন নিয়মিত হয়।’
Advertisement
ব্যাটিংয়ে কী পরিবর্তন এনেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে নাইম শেখ বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যার সারসংক্ষেপ হলো, ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার পাশাপাশি নিয়মিত রান করতে হলে সবার আগে মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। নাইমের ভাষায়, ‘মানসিকতার পরিবর্তন না হলে ওপেনার হিসেবে লম্বা ইনিংস খেলা খুব কঠিন।’
তিনি স্বীকার করেন যে, আগে অফ-স্পিন সামলাতে সমস্যায় পড়তেন। তবে এখন অনেকটাই সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসেছেন।
নাইম বলেন, ‘আগে অফ-স্পিনে অনেক সংগ্রাম করতাম। সেই জায়গা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেছি- কীভাবে ডট বল কমিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করা যায়। আর রেঞ্জ হিটিং নিয়ে কাজ করেছি। তিন বছর আগে মুশফিক ভাই আমাকে বলেছিলেন, রিভার্স সুইপ নিয়ে কাজ করলে ব্যাটিং আরও সহজ হয়ে যাবে। এখন অফ-স্পিনে সুইপ ও রিভার্স সুইপ বেশ সহজ হয়ে গেছে। আগে স্লগ সুইপ ভালো খেলতাম, কিন্তু মাঝখানে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। বলতে গেলে ব্যাপারটা লম্বা হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ, কিছু জিনিস পরিবর্তন করেছি বলেই সাফল্য আসছে।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম
Advertisement