দেশজুড়ে

সরকারি জায়গায় বিএনপি নেতার নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ

ঝিনাইদহে সরকারি জায়গা দখল করে গভীর নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। শহরের এইচ এস এস সড়কে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের নির্মাণাধীন সবুজ বাংলা টাওয়ারের সামনে স্থাপন করা হয় এ নলকূপ।

Advertisement

নলকূপ থেকে সড়কের পিস অংশের দূরত্ব ৩-৪ ফুট। গভীর নলকূপটি স্থাপিত হয়েছে সড়ক ও ড্রেনের মাঝের জায়গায়।

খোঁজ নিয়ে ও স্থানটি ঘুরে দেখা যায়, জেলা শহরের ব্যস্ততম এইচ এস এস সড়ক। বাস টার্মিনাল, কলাবাগান, স্টেডিয়ামপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের শহরে প্রবেশের প্রধান সড়ক এইচ এস এস সড়ক। সড়কের উজির আলী স্কুলের বিপরীত পাশে নির্মিত হচ্ছে একটি বহুতল ভবন। প্রথম দিকে নির্মাণ সংক্রান্ত বোর্ডে ভবনটির নাম দেওয়া ছিল ‘মজিদ টাওয়ার’। কিছুদিন পর নাম বদলে দেওয়া হয় ‘সবুজ বাংলা টাওয়ার’।

কিছুদিন নির্মাণকাজ চলার পর শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর থেকে সবুজ বাংলা টাওয়ারের সামনের প্রধান সড়কের প্রায় ৩-৪ ফুট দূরে শুরু হয় গভীর নলকূপ (সাব-মার্সিবল পাম্প) নির্মাণ কাজ। শনিবার দিনব্যাপী ও রাত পর্যন্ত চলে গর্ত খনন। রোববার দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয় সেখানে পাইপ স্থাপনের কাজ। দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয় পাইপ স্থাপনের কাজ। এর পরপরই সেখান থেকে নলকূপ মিস্ত্রিরা চলে যান। পরে সেখান থেকে পানি ওঠানো শুরু হয়।

Advertisement

এদিকে ব্যস্ততম সড়কের পাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন নলকূপ স্থাপন করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তবে ভবনটির মালিক জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ায় ভয়ে নাম প্রকাশ করত রাজি হননি কেউ।

বিষয়টি জানতে ভবনের সামনের সবুজ বাংলা টাওয়ারের সাইনবোর্ডে দেওয়া নম্বরে কল করা হলে ইকবাল মিস্ত্রি পরিচয়ে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের নির্মাণাধীন ভবনের সামনে নলকূপ স্থাপিত হচ্ছে। এটা জেলা বিএনপির সভাপতি মজিদ ভাইয়ের ভবন। নলকূপের বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’

সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘জায়গাটি সড়ক বিভাগের নাকি জেলা পরিষদের তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। যদি আমাদের হয় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’

জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘জেলা পরিষদকে আমি বিষয়টি জানাচ্ছি। তারা খতিয়ে দেখছেন। তবে এতটুকু বলতে চাই আইনের বাইরে কিছুই হবে না। হতে দেওয়া হবে না।’

Advertisement

নলকূপ ও ভবনের বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি ওমরাহ করতে মক্কায় এসেছি। নলকূপের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। এমন তো হওয়ার কথা না। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসআর/এমএস