মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর সদরের পূর্ব হাসামদিয়া গ্রামের মুদিদোকানির মেয়ে ইমা আক্তার। তবে এ খুশির সংবাদে তার পরিবারে এখনো দুশ্চিন্তার ছায়া। এখনো মেডিকেলে ভর্তির টাকা জোগাড় হয়নি ইমার।
Advertisement
ইমা আক্তার পূর্ব হাসামদিয়া গ্রামের বিল্লাল শেখের মেয়ে। তিন বোনের মধ্য তিনি সবার বড়। তার ছোট দুই বোনের একজন নুসরাত জামিলা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। অন্যজন তাইবা আক্তার মাদরাসায় পড়ছে।
ইমা আক্তার বলেন, ‘আমার জীবনে কষ্টের অনেক গল্প আছে। কষ্টের দিনগুলোতে স্বপ্ন ছিল মেডিকেলে চান্স পেতেই হবে। স্বপ্ন পূরণে কষ্টের মধ্যে দিয়েও পড়াশোনা চালিয়ে গেছি। মহান আল্লাহ আমাকে সাহায্য করেছেন। আগামী ২-৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেডিকেলে ভর্তি হতে হবে। কিন্তু ভর্তির টাকা এখনো জোগাড় হয়নি। এজন্য ভর্তি নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।’
আরও পড়ুন দিনমজুরের মেয়ের মেডিকেল জয়, আনন্দে ভাসছে এলাকাবাসী মেডিকেলে চান্স পেলেও খরচ নিয়ে চিন্তায় দিনমজুরের মেয়ে প্রান্তি কখনো সময়ের অপচয় করিনি: তৃতীয় হওয়া তাসনিমবাবা বিল্লাল শেখ পেশায় একজন মুদিদোকানি। তিনি বলেন, ‘ছোট্ট একটি মুদিদোকান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসারই ঠিকমতো চলে না। ইমার মা দোলেনা বেগম প্যারালাইসিস রোগী। তার অনেক ওষুধ লাগে। অনেক কষ্টে ইমাকে এ পর্যন্ত এনেছি। সে ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। ওর নানা বলতো, সে একদিন বড় ডাক্তার হবে, অসহায় মানুষের সেবা করবে। আমারও বড় স্বপ্ন মেয়েকে ডাক্তার বানাবো। কিন্তু অভাবের কারণে এ স্বপ্ন পূরণ হবে কি না একমাত্র আল্লাহ জানেন। মেয়ের মেডিকেলে ভর্তি, পড়ালেখার খরচ কীভাবে জোগাড় করবো তা নিয়ে বড় দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি।’
Advertisement
ভাঙ্গা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইকরাম আলী ফকির বলেন, ‘ইমা আক্তার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। সে ভদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী। সে যেন একজন ভালো ডাক্তার এবং মানুষের সেবা করতে পারে সেই দোয়া করি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, তার ভর্তির বিষয়ে সহযোগিতা করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হবে।
এন কে বি নয়ন/এসআর/জিকেএস
Advertisement